ETV Bharat / bharat

Rabindranath Tagore: রয়েছ নয়নে নয়নে...

author img

By

Published : Aug 8, 2023, 11:39 AM IST

Updated : Aug 8, 2023, 12:26 PM IST

'তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান ।' গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর মতোই রবীন্দ্র গানেই স্মরণ করা হচ্ছে কবিগুরুকে । রবীন্দ্রনাথের ভাবনা, জীবনবোধ যাপন করে আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে বাঙালি, কবি স্মরণে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অনুভব খাসনবীশ।

Etv Bharat
Etv Bharat

হায়দরাবাদ, 8 অগস্ট: "তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা,

এ সমুদ্রে আর কভু হব নাকো পথহারা ।"

22শে শ্রাবণ । এই দিনটিকে মহীরুহ পতন বলা যায় ? নাকি কোনও ভাষাতেই মেলানো যায় না ক্ষতির অঙ্কটা ? এই দিনটি না-এলে হয়তো বাঙালির সাংস্কৃতিক, রাজনৈতির মননকে আরও কয়েক দশক এগিয়ে দিতেন তিনি । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরেই আরও কয়েকশো যোজন হেঁটে ফেলত একটা গোটা জাতি ।

কারণটা, বাঙালি এবং রবীন্দ্রনাথ । তিনি বঙ্গজীবনের অঙ্গই শুধু নন, প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবনপঞ্জিতেও তাঁকে ছাড়া বাঙালি কার্যত অচল । তুলোর মতো সাদা কিংবা বাদলঘন আকাশের মতো ধূসর, জীবনের যেকোনও রঙে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর লেখনী, তাঁর গান । চরম আনন্দের মুহূর্তে হৃদয়ে দোলা দেওয়া কিংবা দুঃখে ভেঙে পড়ার সময় বলিষ্ঠ হাত কাঁধে খুঁজে নেওয়ার অন্যতম ভরসা যে রবীন্দ্র-গানই । ফলে রবীন্দ্রনাথকে কুলদেবতার (আক্ষরিক অর্থে ঠাকুরের আসনে বসানো বাঙালির হৃদয়ে তাঁর যে চিরযাপন, তা চিরন্তন সত্য । কথায় রয়েছে, সমুদ্রে শয্যা পাতলে শিশিরের ভয় তুচ্ছ । রবির কিরণ শুধু সমুদ্রের অবাধ্য ঢেউয়ের পায়ে বেড়িই পরায়নি, শিশির থেকে বাঁচতে বাঙালির মাথায় ছাতাও ধরেছে ।

"আমি মৃত্যু-চেয়ে বড়ো এই শেষ কথা বলে / যাব আমি চলে" । নিজের কলমেই অমরত্বের আসনে বসা কবিকে কোনও আগলেই বাঁধা সম্ভব নয়, তাঁর বিরাজ সর্বদিকে । বায়ুকে আয়ত্তে এনে অগ্নির তেজ বাড়াতেও তিনি সিদ্ধহস্ত । ফলে বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া রবীন্দ্রনাথকে অচলায়তনের আগলে আটকানো অসম্ভব । প্রতিটি বয়সে, প্রতিটি মুহূর্তে সঙ্গী হন তিনি । তাঁর উপলব্ধিতে বাঙালি শুধু সমৃদ্ধই হয়নি, স্নেহের পরশ পেয়েছে প্রতিটি ক্ষণে ।

প্রাজ্ঞ, প্রবীণ রবীন্দ্রনাথ এখনও চিরসবুজ, প্রতি বসন্তেই বাঙালিকে আদুরে রঙে রাঙায় তাঁরই চেতনা । অতীতের স্মৃতিচারণা, বর্তমানের তাৎক্ষণিকতা কিংবা ভবিষ্যতের স্বপ্ন । প্রতিটি মুহূর্তের কাণ্ডারির গ্রহণযোগ্যতা কি পড়তির পথে ? নবীনদের কাছে ব্রাত্য প্রবীণ দার্শনিক ? তাঁর প্রয়াণ দিবসে ঘুরে-ফিরে আসছে এই প্রশ্নটাই । উত্তরে বরাবরই বাঙালি বুঝিয়েছে, তাঁর লাবণ্যচ্ছায়াতেই বেড়ে উঠছে তারা, রবির চিন্তাসূত্র গেঁথে গেঁথেই আগল ঘুচিয়েছে তারা, বঙ্গের সীমানা পেরিয়ে ছুঁয়েছে বিশ্বকে । গোটা জাতিকে হিল্লোলছন্দে দোলানো লেখায় যেন আরও সমৃদ্ধ হচ্ছি আমরা, বাঙালি যেন নতুনভাবে বুঝছে বিশ্বকবির প্রাসঙ্গিকতা । বর্তমানের 'দেবতার গ্রাস' থেকে বাঁচতে তাঁর ছন্দেই 'খেয়া' পাড় করতে ফের বুঁদ হচ্ছে গোটা জাতি ।

আরও পড়ুন: বিখ্যাত মতিচুর সন্দেশের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রবি ঠাকুরের নাম, স্মৃতি রোমন্থনে চন্দননগরবাসী

হায়দরাবাদ, 8 অগস্ট: "তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা,

এ সমুদ্রে আর কভু হব নাকো পথহারা ।"

22শে শ্রাবণ । এই দিনটিকে মহীরুহ পতন বলা যায় ? নাকি কোনও ভাষাতেই মেলানো যায় না ক্ষতির অঙ্কটা ? এই দিনটি না-এলে হয়তো বাঙালির সাংস্কৃতিক, রাজনৈতির মননকে আরও কয়েক দশক এগিয়ে দিতেন তিনি । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরেই আরও কয়েকশো যোজন হেঁটে ফেলত একটা গোটা জাতি ।

কারণটা, বাঙালি এবং রবীন্দ্রনাথ । তিনি বঙ্গজীবনের অঙ্গই শুধু নন, প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবনপঞ্জিতেও তাঁকে ছাড়া বাঙালি কার্যত অচল । তুলোর মতো সাদা কিংবা বাদলঘন আকাশের মতো ধূসর, জীবনের যেকোনও রঙে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর লেখনী, তাঁর গান । চরম আনন্দের মুহূর্তে হৃদয়ে দোলা দেওয়া কিংবা দুঃখে ভেঙে পড়ার সময় বলিষ্ঠ হাত কাঁধে খুঁজে নেওয়ার অন্যতম ভরসা যে রবীন্দ্র-গানই । ফলে রবীন্দ্রনাথকে কুলদেবতার (আক্ষরিক অর্থে ঠাকুরের আসনে বসানো বাঙালির হৃদয়ে তাঁর যে চিরযাপন, তা চিরন্তন সত্য । কথায় রয়েছে, সমুদ্রে শয্যা পাতলে শিশিরের ভয় তুচ্ছ । রবির কিরণ শুধু সমুদ্রের অবাধ্য ঢেউয়ের পায়ে বেড়িই পরায়নি, শিশির থেকে বাঁচতে বাঙালির মাথায় ছাতাও ধরেছে ।

"আমি মৃত্যু-চেয়ে বড়ো এই শেষ কথা বলে / যাব আমি চলে" । নিজের কলমেই অমরত্বের আসনে বসা কবিকে কোনও আগলেই বাঁধা সম্ভব নয়, তাঁর বিরাজ সর্বদিকে । বায়ুকে আয়ত্তে এনে অগ্নির তেজ বাড়াতেও তিনি সিদ্ধহস্ত । ফলে বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া রবীন্দ্রনাথকে অচলায়তনের আগলে আটকানো অসম্ভব । প্রতিটি বয়সে, প্রতিটি মুহূর্তে সঙ্গী হন তিনি । তাঁর উপলব্ধিতে বাঙালি শুধু সমৃদ্ধই হয়নি, স্নেহের পরশ পেয়েছে প্রতিটি ক্ষণে ।

প্রাজ্ঞ, প্রবীণ রবীন্দ্রনাথ এখনও চিরসবুজ, প্রতি বসন্তেই বাঙালিকে আদুরে রঙে রাঙায় তাঁরই চেতনা । অতীতের স্মৃতিচারণা, বর্তমানের তাৎক্ষণিকতা কিংবা ভবিষ্যতের স্বপ্ন । প্রতিটি মুহূর্তের কাণ্ডারির গ্রহণযোগ্যতা কি পড়তির পথে ? নবীনদের কাছে ব্রাত্য প্রবীণ দার্শনিক ? তাঁর প্রয়াণ দিবসে ঘুরে-ফিরে আসছে এই প্রশ্নটাই । উত্তরে বরাবরই বাঙালি বুঝিয়েছে, তাঁর লাবণ্যচ্ছায়াতেই বেড়ে উঠছে তারা, রবির চিন্তাসূত্র গেঁথে গেঁথেই আগল ঘুচিয়েছে তারা, বঙ্গের সীমানা পেরিয়ে ছুঁয়েছে বিশ্বকে । গোটা জাতিকে হিল্লোলছন্দে দোলানো লেখায় যেন আরও সমৃদ্ধ হচ্ছি আমরা, বাঙালি যেন নতুনভাবে বুঝছে বিশ্বকবির প্রাসঙ্গিকতা । বর্তমানের 'দেবতার গ্রাস' থেকে বাঁচতে তাঁর ছন্দেই 'খেয়া' পাড় করতে ফের বুঁদ হচ্ছে গোটা জাতি ।

আরও পড়ুন: বিখ্যাত মতিচুর সন্দেশের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রবি ঠাকুরের নাম, স্মৃতি রোমন্থনে চন্দননগরবাসী

Last Updated : Aug 8, 2023, 12:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.