নয়াদিল্লি, 7 ফেব্রুয়ারি: বিনিয়োগ করার সময় বিধিবদ্ধ কাঠামো এবং নিয়মগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করে এলআইসি ৷ আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলিতে এলআইসি-এর বিনিয়োগ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের একাংশের মধ্যে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে সরকারের কাছে এমনই দাবি করেছে বিমা সংস্থা (LIC Declaration to Govt)৷
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বিমা কর্পোরেশন (এলআইসি) বলেছিল যে, তারা আদানি গোষ্ঠীর ঋণ এবং ইক্যুইটি সিকিউরিটিতে 35,917.31 কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ৷ পরিমাণটি 41.66 লক্ষ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির মালিক বিমা সংস্থার মোট সম্পদের 0.975 শতাংশ । এলআইসি জানিয়েছে, গত বহু বছর ধরে কেনা আদানি গোষ্ঠীর সমস্ত কোম্পানির অধীনে ইক্যুইটির মোট ক্রয়মূল্য হল 30,127 কোটি টাকা এবং 2023-এর 27 জানুয়ারি বাজার বন্ধ হওয়ার সময় বাজারমূল্য ছিল 56,142 কোটি টাকা ।
মঙ্গলবার সংসদে লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভগবত কারাড জানিয়েছেন, "এলআইসি জানিয়েছে যে, এলআইসি-র সমস্ত বিনিয়োগ বিমা আইন, 1938 এবং আইআরডিএআই বিনিয়োগ প্রবিধান, 2016-এর বিধিবদ্ধ কাঠামো অনুসারে কঠোরভাবে পরিচালিত হয় এবং একটি বিশদ প্রশাসনিক ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় ৷" আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানিতে এলআইসি-র স্টক সম্পর্কে বিজেপি সদস্য সুশীল কুমার মোদির একটি প্রশ্নের জবাবে, কারাড বলেন, "এলআইসি এটাও নিশ্চিত করেছে যে তার বিনিয়োগ সংক্রান্ত বেশিরভাগ তথ্য ইতিমধ্যেই পাবলিক ডোমেনে পাওয়া যাচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: আদানি বিজেপিকে কত টাকা দিয়েছেন ? তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কী সম্পর্ক; লোকসভায় সরব রাহুল
আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত 10টি কোম্পানি রয়েছে । হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ 24 জানুয়ারি একটি প্রতিবেদনে জালিয়াতিমূলক লেনদেন এবং শেয়ারের দামের হেরফের-সহ নানা অভিযোগ আনে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ৷ তার পর থেকেই আদানিদের শেয়ারের দর পড়তে শুরু করে ৷ গত কয়েকদিনে বাজার মূল্যে বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী ।
আদানি গোষ্ঠী অভিযোগগুলিকে মিথ্যা বলে খারিজ করে দিয়েছে ৷ তারা বলেছে যে, তারা সমস্ত আইন মেনে চলে । বিরোধীরা অবশ্য এটাকে বড় ধরনের প্রতারণা বলে অভিহিত করছে । আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলিতে এলআইসির বিনিয়োগ নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে ৷