জবলপুর, 16 জানুয়ারি: বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভাবে পালন না করা এবং শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অস্বীকার করা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান ৷ এই কারণ বিবাহবিচ্ছেদের বৈধ ভিত্তি ৷ এমনই মত মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ৷ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, স্ত্রী সহবাসে সম্মত না হলে, সেই কারণ দেখিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ পেতে পারেন স্বামী ৷
বিচারপতি শীল নাগু এবং বিনয় শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ 3 জানুয়ারি এক ব্যক্তির বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করেছে ৷ ওই ব্যক্তির স্ত্রী বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভাবে পালন করেননি এবং 2006 সালে তাঁদের বিয়ের পর থেকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও অস্বীকার করেছিলেন, এই যুক্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয় ৷ হাইকোর্ট তার নির্দেশে বলেছে, "বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ রূপে পালন না করা এবং শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অস্বীকার করা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান ৷"
ওই ব্যক্তির দায়ের করা আপিল অনুসারে, তিনি জুলাই 2006 সালে ওই মহিলাকে বিয়ে করেন । তবে, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে তাঁর স্ত্রী অস্বীকার করেছিলেন বলে অভিযোগ ৷ ওই মহিলার দাবি ছিল যে, তাঁকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে । মহিলাটি নাকি তাঁর স্বামীকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি অন্য কারওকে ভালোবাসেন ৷ তাঁকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য স্বামীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন ওই মহিলা ৷
ওই ব্যক্তি বলেন যে, তিনি ওই মাসেই কাজের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন এবং সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর স্ত্রী নিজের পরিবারে ফিরে যান ৷ আর তিনি ফিরে আসেননি । 2011 সালে ওই ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ভোপালের একটি পারিবারিক আদালতে আবেদন করেছিলেন । 2014 সালে পারিবারিক আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেয় । এরপর ওই ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আবেদন করেন । হাইকোর্ট তার আদেশে উল্লেখ করেছে যে, বেশ কয়েকবার মহিলাটি বৈবাহিক সম্পর্ক পালন করতে এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করেছিলেন ।
বেঞ্চ বলেছে, "আমাদের মতে, যে কোনও শারীরিক অক্ষমতা বা বৈধ কারণ ছাড়াই একতরফাভাবে যৌন মিলন করতে অস্বীকার করা মানসিক নিষ্ঠুরতা হতে পারে ।" পারিবারিক আদালতের আদেশ খারিজ করার সময় হাইকোর্ট বলেছে যে, বিবাহকে পরিপূর্ণ করতে স্ত্রীর ব্যর্থতা বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না বলে জানিয়েছিল নিম্ন আদালত, যে কথা সঠিক নয় ।
আরও পড়ুন: