ETV Bharat / bharat

Jnaneswari Express Accident: দুমড়ে যাওয়া কামরা, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে লাশ ! করমণ্ডলের দুর্ঘটনায় ফিরল জ্ঞানেশ্বরীর স্মৃতি - Jnaneswari Express train accident

প্রায় 50 জনের মৃত্যু হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ৷ স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা যে বাড়বে, তা হলপ করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ আর এখানেই আরও একবার স্মৃতির পর্দায় ভেসে উঠে এসেছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ছবি ৷

Jnaneswari Express train accident
Jnaneswari Express train accident
author img

By

Published : Jun 2, 2023, 10:16 PM IST

হায়দরাবাদ, 2 জুন: একই লাইনে দুই ট্রেন ৷ কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ ৷ আর যার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে গেল ট্রেনের অধিকাংশ বগি ৷ লাইনের উপর কার্যত তিন থেকে চারটি বগির কাঠামো কোনও রকমে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল ৷ শুক্রবার চেন্নাইগামী হাওড়া-শালিমার আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ফের একবার উস্কে দিয়েছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি ৷ একটি ঘটেছিল 28 মে, অন্যটি হল 2 জুন ৷ তবে প্রাথমিকভাবে রেল-সহ ওয়াকিবহল মহলের ধারণা দুটি দুর্ঘটনার মধ্যে তেমন কোনও আকাশ-পাতাল পার্থক্য নেই ৷

যেভাবে এদিন দুটি এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি ট্রেনের মধ্য়ে সংঘর্ষ হয়, তাতে ভয়াবহতার নিরিখে তা জ্ঞানেশ্বরীকে ছাপিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা প্রাথমিকভাবে করছে রেল বিশেষজ্ঞরা ৷ এদিনের দুর্ঘটনার খানিক বাদেই অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, প্রায় 50 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে প্রায় 500 জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও খবর মিলেছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই মৃতের সংখ্যা যে বাড়বে, তা হলপ করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ আর এখানেই আরও একবার স্মৃতির পর্দায় ভেসে উঠে এসেছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ছবি ৷

কী হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ? 2010-এর 28 মে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় ডাউন লাইনে উলটো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের। রেলের তরফে অবশ্য সেবারও প্রাথমিকভাবে লাইনচ্যুত হওয়ার তত্ত্বই সামনে আনা হয়েছিল ৷ কিন্তু তার ভয়াবহতা দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ৷ ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ একটি বগির উপর উঠে গিয়েছিল একাধিক বগি ৷ দুমড়ে-মুচড়ে কার্যত তাল পাকিয়ে গিয়েছিল বগিগুলি ৷ দেহ উদ্ধার করতে ক্রেনের সাহায্যে সেসময় সরানো হয়েছিল বগিগুলিকে ৷

সংঘর্ষের প্রাবল্যতা এতটাই ছিল যে, ছিটকে পড়েছিল একাধিক দেহ ৷ কোথাও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা কেবল খণ্ড খণ্ড দেহাংশ খুঁজে পেয়েছিলেন ৷ অনেক দেহই খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনায় সরকারিভাবে 148 জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফে ৷ তবে একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল, সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নয় ৷ কারণ হিসাবে সেসময় বেশ কিছু মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, যেখানে একের পর এক মানুষের দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে দুর্ঘটনায় 148 জনের মৃত্যুর কথা বলা সমীচীন কি ? অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় মৃত প্রায় 37 জনের দেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্তও করা সম্ভব হয়নি ৷ পরে ডিএনএ পরীক্ষা হয়। ধাপে ধাপে 13 জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: মালগাড়িতে ধাক্কা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের, দুমড়ে-মুচড়ে গেল একাধিক বগি, আটকে প্রায় 500 যাত্রী

জ্ঞানেশ্বরীর দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এবং ব্যপকতা যে মারাত্মক ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ দুর্ঘটনার পর দেহ উদ্ধার করতেও হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা হয় পুলিশ-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানদেরও ৷ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছিল 28 মে, দুর্ঘটনার দিনই। একই সঙ্গে, মাওবাদী হামলার আশঙ্কাও করা হয়েছিল একাধিক মহল থেকে ৷

হায়দরাবাদ, 2 জুন: একই লাইনে দুই ট্রেন ৷ কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ ৷ আর যার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে গেল ট্রেনের অধিকাংশ বগি ৷ লাইনের উপর কার্যত তিন থেকে চারটি বগির কাঠামো কোনও রকমে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল ৷ শুক্রবার চেন্নাইগামী হাওড়া-শালিমার আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ফের একবার উস্কে দিয়েছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি ৷ একটি ঘটেছিল 28 মে, অন্যটি হল 2 জুন ৷ তবে প্রাথমিকভাবে রেল-সহ ওয়াকিবহল মহলের ধারণা দুটি দুর্ঘটনার মধ্যে তেমন কোনও আকাশ-পাতাল পার্থক্য নেই ৷

যেভাবে এদিন দুটি এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি ট্রেনের মধ্য়ে সংঘর্ষ হয়, তাতে ভয়াবহতার নিরিখে তা জ্ঞানেশ্বরীকে ছাপিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা প্রাথমিকভাবে করছে রেল বিশেষজ্ঞরা ৷ এদিনের দুর্ঘটনার খানিক বাদেই অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, প্রায় 50 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে প্রায় 500 জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও খবর মিলেছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই মৃতের সংখ্যা যে বাড়বে, তা হলপ করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ আর এখানেই আরও একবার স্মৃতির পর্দায় ভেসে উঠে এসেছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ছবি ৷

কী হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ? 2010-এর 28 মে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় ডাউন লাইনে উলটো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের। রেলের তরফে অবশ্য সেবারও প্রাথমিকভাবে লাইনচ্যুত হওয়ার তত্ত্বই সামনে আনা হয়েছিল ৷ কিন্তু তার ভয়াবহতা দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ৷ ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ একটি বগির উপর উঠে গিয়েছিল একাধিক বগি ৷ দুমড়ে-মুচড়ে কার্যত তাল পাকিয়ে গিয়েছিল বগিগুলি ৷ দেহ উদ্ধার করতে ক্রেনের সাহায্যে সেসময় সরানো হয়েছিল বগিগুলিকে ৷

সংঘর্ষের প্রাবল্যতা এতটাই ছিল যে, ছিটকে পড়েছিল একাধিক দেহ ৷ কোথাও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা কেবল খণ্ড খণ্ড দেহাংশ খুঁজে পেয়েছিলেন ৷ অনেক দেহই খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনায় সরকারিভাবে 148 জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফে ৷ তবে একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল, সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নয় ৷ কারণ হিসাবে সেসময় বেশ কিছু মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, যেখানে একের পর এক মানুষের দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে দুর্ঘটনায় 148 জনের মৃত্যুর কথা বলা সমীচীন কি ? অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় মৃত প্রায় 37 জনের দেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্তও করা সম্ভব হয়নি ৷ পরে ডিএনএ পরীক্ষা হয়। ধাপে ধাপে 13 জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: মালগাড়িতে ধাক্কা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের, দুমড়ে-মুচড়ে গেল একাধিক বগি, আটকে প্রায় 500 যাত্রী

জ্ঞানেশ্বরীর দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এবং ব্যপকতা যে মারাত্মক ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ দুর্ঘটনার পর দেহ উদ্ধার করতেও হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা হয় পুলিশ-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানদেরও ৷ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছিল 28 মে, দুর্ঘটনার দিনই। একই সঙ্গে, মাওবাদী হামলার আশঙ্কাও করা হয়েছিল একাধিক মহল থেকে ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.