ভাটিন্ডা (পঞ্জাব), 17 এপ্রিল: ভাতিন্ডা মিলিটারি স্টেশনে গুলি চালানো এবং চার সেনাকর্মীর নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এক জওয়ানকে আটক করেছে পুলিশ ৷ সোমবার পুলিশ আধিকারিকরা জানিছেন, 12 এপ্রিল মিলিটারি স্টেশনে ঘটে যাওয়া গুলি চালনার ঘটনায় ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় চার সেনা জওয়ানের ৷ এই ঘটনায় রবিবার চার জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এরপরই একজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷
এর আগে ভাতিন্ডা মিলিটারি স্টেশনে গুলির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই অজ্ঞাত পরিচয়ার ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পঞ্জাব পুলিশ। গুলি চালনার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মেজর আশুতোষ শুক্লার বক্তব্যের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত চার জওয়ানের নাম সাগর, কমলেশ, সন্তোষ এবং যোগেশ।
পুলিশ এবং সেনা সূত্রে খবর, ঘটনার দিনও রোজকার মতোই ডিউটি শেষে সেনা জওয়ানরা তাঁদের নির্দিষ্ট ঘরেই শুয়েছিলেন ৷ অভিযোগ, এই সময় সাদা কুর্তা পাজামা পরা দুই মুখোশধারী ব্যক্তি রাইফেল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। চার জওয়ানের দেহ ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধে ব্যবহৃত একটি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের দাবি, আর্টিলারি ইউনিটের চার সেনা সদস্য ঘটনার সময়ই গুলিতে আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, এই ঘটনায় জওয়ানদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি অন্য কোনও আঘাত বা সম্পত্তি ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র সরকারের অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোকে মৃত 11
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সেনা ছাউনি থেকে একটি ইনসাস রাইফেল এবং 28 রাউন্ড গুলি গত দু'দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ পাশাপাশি এই হামলার ঘটনার পিছনে সেনার কিছু কর্মী জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে সেনার তরফে। ঘটনার পর এলাকাটি ঘিরে দেয় পুলিশ ৷ একই সঙ্গে সেনাবাহিনী এবং পঞ্জাব পুলিশ যৌথভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, বিষয়টি জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডেকেও ৷