অমেঠী (উত্তরপ্রদেশ), 30 অগস্ট: ফোনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অমেঠীর সাংসদ স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) গলা চিনতে পারেননি একজন লেখপাল (সরকারি কেরানি) ৷ সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ অভিযোগ, নিজের দায়িত্ব পালন করেননি ওই কর্মচারী (Probe ordered Against UP Official)৷ সরকারি কাজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়ে সরাসরি ওই কর্মী অর্থাৎ লেখপালকে ফোন করেছিলেন স্মৃতি ইরানি ৷ তখন ফোনে তাঁর গলার স্বর বুঝতে না পেরে তাঁকে চিনতে অস্বীকার করেন ওই কর্মী ৷ এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
গত 27 অগস্ট কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান মুসাফিরখানা তহশিলের পুরে পাহালওয়ান গ্রামের এক বাসিন্দা ৷ তাঁর অভিযোগ, স্কুলশিক্ষক বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা সাবিত্রী দেবীর যে পেনশন পাওয়ার কথা, তা তিনি পাচ্ছেন না ৷ সরকারি কেরানি দীপক সেই নথির ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পূর্ণ করেননি বলেই তাঁর মা পেনশন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন করুণেশ ৷ এই অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি জানতে চেয়ে ওই কেরানিকে সরাসরি ফোন করেন স্মৃতি ইরানি (Not Recognising Smriti Irani Over Phone)৷ তখন তাঁর গলার স্বর চিনতে পারেননি দীপক ৷
অমেঠীর চিফ ডেভলপমেন্ট অফিসার অঙ্কুর লাথার জানিয়েছেন, করুণেশের চিঠি বলে দিচ্ছে যে এটা মুসাফিরখানার লেখপাল দীপকের কর্মে শৈথিল্যের ঘটনা এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারেননি ৷ মুসাফিরখানার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন লাথার ৷ সেই তদন্তের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: স্মৃতি ইরানিকে বরখাস্ত করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি কংগ্রেস বিধায়কের
শনিবার করুণেশের অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখপালকে ফোন করলে তিনি স্মৃতির কণ্ঠ চিনতে পারেননি ৷ এরপরই মন্ত্রীর ফোন পেয়ে সিডিও গৌতমপুর গ্রামসভায় কর্তব্যরত সেই লেখপালকে তাঁর অফিসে ডেকে পাঠান ৷