ETV Bharat / bharat

Priyanka Gandhi : বিজেপিকে হারাতে মোদির বারাণসীতে মা দুর্গার শরণাপন্ন প্রিয়াঙ্কা

উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দুত্বের সরণিতে হাঁটতে চায় কংগ্রেস ৷ রবিবার দলের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধির মুখে ‘জয় মাতা দি’ স্লোগান সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে ৷

priyanka-gandhi-invokes-goddess-durga-urges-people-to-chant-jai-mata-di-at-varanasi-rally
Priyanka Gandhi : বিজেপিকে হারাতে মোদির বারাণসীতে মা দুর্গার শরণাপন্ন প্রিয়াঙ্কা
author img

By

Published : Oct 11, 2021, 8:21 AM IST

বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ), 11 অক্টোবর : হিন্দু হৃদয় সম্রাট ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Prime Minister Narendra Modi) এমনটাই মনে করেন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থক ৷ সেই নরেন্দ্র মোদির সংসদীয় এলাকা বারাণসী থেকে পালটা ধর্মীয় স্লোগান তুললেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra) ৷ রাজনীতির ময়দানে বিজেপিকে ঠেকাতে তিনি শরণাপন্ন হলেন মা দুর্গার (Goddess Durga)৷ মঞ্চ থেকে স্লোগান তুললেন ‘জয় মাতা দি’ (Jai Mata Di) ৷

আরও পড়ুন : Amit Shah on Modi : সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নেতা মোদি, নেতৃত্বদানই তাঁর বৃহত্তম গুণ : শাহ

রবিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে (Varanasi) কৃষকদের সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে বক্তৃতার শুরুতে রাজীব-তনয়া বলেন, ‘‘আমি উপোস করে আছি এবং আমি মায়ের স্তুতি করার পর বক্তৃতা শুরু করব ৷’’ এর পরই সংস্কৃতে তিনি দু’টি শ্লোক আওড়ান ৷ আর ‘জয় মাতা দি’ স্লোগান দেন ৷ সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদেরও তিনি একই স্লোগান দিতে অনুরোধ করেন ৷ জনতাও তাঁকে অনুসরণ করেন ৷

মহাপঞ্চমীর দিন বারাণসীতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের (Congress) অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্যের রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে ৷ কারণ, একদিকে বারাণসীকে হিন্দুরা ধর্মীয়ভাবে পবিত্র শহর বলে মনে করেন ৷ তাছাড়া সেখান থেকেই 2014 ও 2019 সালে ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদি ৷ তার উপর আর কয়েকমাস পরই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election) ৷

আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi Vadra : লখনউয়ে এসেও লখিমপুরে যাননি প্রধানমন্ত্রী, মোদিকে তুলোধনা প্রিয়াঙ্কার

আর ভারতীয় রাজনীতিতে, বিশেষ করে গো-বলয়ে বিজেপির উত্থান রামমন্দির আন্দোলন (Ram Mandir) ও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৷ প্রতিটি ভোটেই তারা ‘মন্দির ওঁহি বানায়েঙ্গে’ স্লোগান দিয়ে রাম-ভক্তদের মন জয় করেছে ৷ কিন্তু এবার সেই সুযোগ নেই ৷ রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন ৷

অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার হিন্দুত্বের (Hindutva) ধুয়ো তুলে ভোটে লড়ার অভিযোগ ওঠে ৷ আর এই ফর্মুলা বরাবর তাদের পক্ষেই যায় বলে বিভিন্ন ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে ৷ তাই আগেভাগে প্রিয়াঙ্কাও হিন্দুত্বের রাস্তায় হাঁটলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ৷

আরও পড়ুন : Varun Gandhi : লখিমপুরের ঘটনাকে হিন্দু-শিখ লড়াই হিসাবে ব্যখ্যার চেষ্টা ভয়ঙ্কর, সরব বরুণ গান্ধি

তাঁদের এই মতের সঙ্গে মিল গিয়েছে রবিবারের সভার পরিস্থিতিও ৷ প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মঞ্চে আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা উপস্থিত ছিলেন ৷ সভার শুরুতেই সকলে ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দেন ৷ তবে কোরান (Koran) ও গুরবানির (Gurbani) কিছু অংশও পাঠ করা হয় ৷ কিন্তু তারপরও উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপিকে হারাতে ‘হিন্দুত্ব যে কংগ্রেসের বড় ভরসা, তা স্পষ্ট কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদের (Salman Khurshid) কথায় ৷

তিনি বলেন, ‘‘এটা (ভারত) হিন্দু সংখ্যাগুরুর দেশ ৷ উত্তরপ্রদেশেও হিন্দুরাও সংখ্যাগুরু ৷ কীভাবে রাজ্য চলা উচিত, তা নিয়ে সংখ্যাগুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, এটা ভাবা উচিত নয় ৷’’ পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, হিন্দুদের মতামত অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু এর জন্য সংখ্যালঘুদেরও অস্বীকার করা যাবে না ৷

আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi : কৃষক সমাবেশে বক্তৃতার আগে বিশ্বনাথের দরজায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের হিন্দুত্বের প্রচার হবে হিন্দুত্বের ব্যাপকতা নিয়ে ৷ হিন্দুত্বের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ৷ তাই হিন্দুরা মুসলিম-সহ অন্য ধর্মকে সঙ্গে নিয়ে চলবেন ৷’’ আর এই প্রচারের জোরেই উত্তরপ্রদেশে যোগী-রাজের অবসান ঘটানো সম্ভব বলেই মনে করছে কংগ্রেস ৷ দলের এই মনোভাবও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সলমন খুরশিদ ৷

বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ), 11 অক্টোবর : হিন্দু হৃদয় সম্রাট ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Prime Minister Narendra Modi) এমনটাই মনে করেন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থক ৷ সেই নরেন্দ্র মোদির সংসদীয় এলাকা বারাণসী থেকে পালটা ধর্মীয় স্লোগান তুললেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra) ৷ রাজনীতির ময়দানে বিজেপিকে ঠেকাতে তিনি শরণাপন্ন হলেন মা দুর্গার (Goddess Durga)৷ মঞ্চ থেকে স্লোগান তুললেন ‘জয় মাতা দি’ (Jai Mata Di) ৷

আরও পড়ুন : Amit Shah on Modi : সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নেতা মোদি, নেতৃত্বদানই তাঁর বৃহত্তম গুণ : শাহ

রবিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে (Varanasi) কৃষকদের সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে বক্তৃতার শুরুতে রাজীব-তনয়া বলেন, ‘‘আমি উপোস করে আছি এবং আমি মায়ের স্তুতি করার পর বক্তৃতা শুরু করব ৷’’ এর পরই সংস্কৃতে তিনি দু’টি শ্লোক আওড়ান ৷ আর ‘জয় মাতা দি’ স্লোগান দেন ৷ সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদেরও তিনি একই স্লোগান দিতে অনুরোধ করেন ৷ জনতাও তাঁকে অনুসরণ করেন ৷

মহাপঞ্চমীর দিন বারাণসীতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের (Congress) অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্যের রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে ৷ কারণ, একদিকে বারাণসীকে হিন্দুরা ধর্মীয়ভাবে পবিত্র শহর বলে মনে করেন ৷ তাছাড়া সেখান থেকেই 2014 ও 2019 সালে ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদি ৷ তার উপর আর কয়েকমাস পরই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election) ৷

আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi Vadra : লখনউয়ে এসেও লখিমপুরে যাননি প্রধানমন্ত্রী, মোদিকে তুলোধনা প্রিয়াঙ্কার

আর ভারতীয় রাজনীতিতে, বিশেষ করে গো-বলয়ে বিজেপির উত্থান রামমন্দির আন্দোলন (Ram Mandir) ও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৷ প্রতিটি ভোটেই তারা ‘মন্দির ওঁহি বানায়েঙ্গে’ স্লোগান দিয়ে রাম-ভক্তদের মন জয় করেছে ৷ কিন্তু এবার সেই সুযোগ নেই ৷ রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন ৷

অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার হিন্দুত্বের (Hindutva) ধুয়ো তুলে ভোটে লড়ার অভিযোগ ওঠে ৷ আর এই ফর্মুলা বরাবর তাদের পক্ষেই যায় বলে বিভিন্ন ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে ৷ তাই আগেভাগে প্রিয়াঙ্কাও হিন্দুত্বের রাস্তায় হাঁটলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ৷

আরও পড়ুন : Varun Gandhi : লখিমপুরের ঘটনাকে হিন্দু-শিখ লড়াই হিসাবে ব্যখ্যার চেষ্টা ভয়ঙ্কর, সরব বরুণ গান্ধি

তাঁদের এই মতের সঙ্গে মিল গিয়েছে রবিবারের সভার পরিস্থিতিও ৷ প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মঞ্চে আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা উপস্থিত ছিলেন ৷ সভার শুরুতেই সকলে ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দেন ৷ তবে কোরান (Koran) ও গুরবানির (Gurbani) কিছু অংশও পাঠ করা হয় ৷ কিন্তু তারপরও উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপিকে হারাতে ‘হিন্দুত্ব যে কংগ্রেসের বড় ভরসা, তা স্পষ্ট কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদের (Salman Khurshid) কথায় ৷

তিনি বলেন, ‘‘এটা (ভারত) হিন্দু সংখ্যাগুরুর দেশ ৷ উত্তরপ্রদেশেও হিন্দুরাও সংখ্যাগুরু ৷ কীভাবে রাজ্য চলা উচিত, তা নিয়ে সংখ্যাগুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, এটা ভাবা উচিত নয় ৷’’ পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, হিন্দুদের মতামত অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু এর জন্য সংখ্যালঘুদেরও অস্বীকার করা যাবে না ৷

আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi : কৃষক সমাবেশে বক্তৃতার আগে বিশ্বনাথের দরজায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের হিন্দুত্বের প্রচার হবে হিন্দুত্বের ব্যাপকতা নিয়ে ৷ হিন্দুত্বের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ৷ তাই হিন্দুরা মুসলিম-সহ অন্য ধর্মকে সঙ্গে নিয়ে চলবেন ৷’’ আর এই প্রচারের জোরেই উত্তরপ্রদেশে যোগী-রাজের অবসান ঘটানো সম্ভব বলেই মনে করছে কংগ্রেস ৷ দলের এই মনোভাবও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সলমন খুরশিদ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.