নয়াদিল্লি, 18 মার্চ: বাজরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাতেও সহায়ক হতে পারে ৷ শনিবার বাজরা চাষের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ পাশাপাশি কৃষি বিজ্ঞানীদের জাতীয় খাদ্য় সুরক্ষার ক্ষেত্রে এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শস্য়ের উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷
'গ্লোবাল মিলেটস (শ্রী অন্ন) সম্মেলন'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে ভারতের প্রস্তাব এবং প্রচেষ্টাকে সম্মান জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘ 2023 সালকে 'আন্তর্জাতিক মিলেটস বছর' হিসেবে ঘোষণা করেছে।" প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) জানিয়েছেন, ভারত ক্রমাগত বাজরা বা শ্রী আন্নাকে (Shri Anna) বিশ্বব্যাপী এক আন্দোলন হিসেবে প্রচারের জন্য কাজ করছে। প্রতিকূল আবহাওয়াতেও রাসায়নিক ও সার ছাড়াই বাজরা সহজে চাষ করা যায় বলে কার্যত জোরের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারতের বাজরা মিশন দেশের প্রায় আড়াই কোটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উপকৃত করবে। আমি ভারতের বিজ্ঞানী এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের (Agriculture Scientist) এক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি। এর জন্য আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য মাত্রা স্থির করে এগোতে হবে ৷"
আরও পড়ুন: পাঁচ ভিন্ন ভাষায় 'কেশরিয়া' শুনে গায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি
ইতিমধ্য়েই কেন্দ্র সরকার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে পিএলআই স্কিম চালু করেছে ৷ এদিন সে বিষয়টির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কৃষিজাত পণ্য় উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলিকে বাজরা-ভিত্তিক পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে এই প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বাজরা বা পুষ্টি-শস্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং সাধারণ মানুষকে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী খাদ্য় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে 2023 সালকে 'আন্তর্জাতিক বাজরা বছর' হিসাবে ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব দেয় ভারত। ভারতের এই প্রস্তাব আরও 72টি দেশ সমর্থন করেছিল ৷ এরপরই রাষ্ট্রসংঘের 2023 'আন্তর্জাতিক বাজরা বছর' হিসাবে ঘোষণা করে।
বর্তমানে ভারত 170 লক্ষ টনেরও বেশি বাজরা উৎপাদন করে ৷ যা এশিয়ার 80 শতাংশ এবং বিশ্বের মোট উৎপাদনের 20 শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকে একটি কাস্টমাইজড পোস্টাল স্ট্যাম্প এবং দেশের নতুন 75 টাকার কয়েনের উদ্বোধন করেন।