জলন্ধর, 2 জানুয়ারি: বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল একই পরিবারের পাঁচজনকে ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পঞ্জাবের জলন্ধর জেলার দ্রোলি খুর্দ গ্রামে ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের কর্তা মনমোহন সিং, একজন পোস্টমাস্টার ছিলেন ৷ তিনি ঋণের বোঝায় জেরবার হয়ে প্রথমে পরিবারের সব সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং তারপর আত্মঘাতী হন বলে মনে করা হচ্ছে ।
মৃত্যু হয়েছে মনমোহন সিং (55), তাঁর স্ত্রী সরবজিৎ কৌর, তাঁদের দুই মেয়ে জ্যোতি (32) ও গোপী (31) এবং জ্যোতির ছোট মেয়ে আমানের ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । মৃত মনমোহন সিং-এর জামাই সরবজিৎ সিং ফুগলানার বাসিন্দা ৷ তিনি জানান, অনেক দিন ধরেই তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফোন করছেন কিন্তু কেউ ফোন ধরছেন না । তাই তিনি দ্রোলি খুর্দ গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আসেন এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে মনমোহনের মৃতদেহ দেখতে পান । আদমপুর পোস্ট অফিসের দায়িত্বে ছিলেন মনমোহন সিং । এই ঘটনার খবর পেয়ে রাত আটটা কুড়ি মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ প্রধান মনোজিৎ সিং এবং ডিএসপি আদমপুর বিজয় কুনওয়ার সিং ।
মিলেছে সুইসাইড নোট: তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ সেখানে মৃত মনমোহন সিং লিখেছেন যে, তিনি আর্থিক অনটনের কারণে ঋণ নিয়েছিলেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই ঋণ নিয়ে আলোচনা করছেন ৷ যে ঋণ নিয়ে ঘরোয়া বিবাদে বিরক্ত হয়ে তিনি এই পদক্ষেপ করছেন বলে লিখেছেন মনোমোহন ।
দেহগুলির ময়নাতদন্ত: পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলন্ধর সিভিল হাসপাতালে পাঠায় । পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, নিহতদের সবার গলায় দাগ রয়েছে । যা থেকে মনে হচ্ছে সবাই ফাঁসিতে ঝুলে মারা গিয়েছেন । তিন বছরের মেয়েটির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, তার গলাতেও গভীর দাগ রয়েছে ৷ তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে ।
(যদি আপনার আত্মহত্যার চিন্তা থাকে, বা বন্ধুর জন্য চিন্তিত থাকেন বা মানসিক সমর্থনের প্রয়োজন হয়, কেউ সবসময় শোনার জন্য আছে । কল করুন স্নেহা ফাউন্ডেশন-04424640050 (24x7) অথবা (কল করুন, টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সের হেল্পলাইন - 9152987821, যা সোমবার থেকে শনিবার সকাল আটটা থেকে রাত 10টা পর্যন্ত পাওয়া যায়)।
আরও পড়ুন: