নয়াদিল্লি, 1 জুলাই : পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হোক ৷ এই মর্মে করা একটি জনস্বার্থ মামলা শুনতে রাজি হয়ে গেল দেশের শীর্ষ আদালত ৷ উল্লেখ্য, বিরোধীদের, বিশেষ করে বিজেপির অভিযোগ, একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন থেকেই (2 মে, 2021) পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে ৷ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা ৷ আর সেই কারণেই গেরুয়া শিবিরের তরফে বারবার রাজ্য়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি উঠেছে ৷ এমনকী, আদালত যাতে এই মর্মে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, সামনে এসেছে তেমন আর্জিও ৷ বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত একটি মামলারই শুনানি চালুতে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৷
আরও পড়ুন : ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ মামলাটিতে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পাশাপাশি রাজ্যে সামরিক বাহিনী অথবা আধাসেনা মোতায়েনেরও দাবি তোলা হয়েছে ৷ মামলাকারীর দাবি, তা না হলে রাজ্য়ের শান্তি ও অভ্যন্তরীণ স্থিতাবস্থা ফিরবে না ৷ একইসঙ্গে, ঠিক কী কারণে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর ব্য়াপক হিংসা ছড়়াল, তার নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি তোলা হয়েছে ৷ মামলাকারীর দাবি, এই তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দেওয়া হোক ৷
এদিন এই মামলার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠিয়েছে বিচারপতি বিনীত সারান (Justices Vineet Saran) এবং বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর (Justices Dinesh Maheshwari) বেঞ্চ ৷ তাতে হিংসার শিকার পরিবারগুলিকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য় কেন্দ্র ও রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ জানতে চাওয়া হয়েছে সব পক্ষের মতামত ৷
আরও পড়ুন : Post Poll Violence : হিংসার বলি 25, নিগৃহীত 7 হাজার মহিলা ; অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস কেন্দ্রের
সূত্রের খবর, যিনি এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন, তিনি উত্তরপ্রদেশের একজন আইনজীবী ৷ নাম জিতেন্দর সিং (Jitender Singh) ৷ তাঁর হয়ে এদিন তাঁর আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন (Advocate Hari Shankar Jain) শীর্ষ আদালতের সামনে মামলাটি উপস্থাপন করেন ৷ হরিশঙ্কর জানান, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদেই এই মামলাটি করা হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, এই মামলাটির শুনানি শুরু করার পাশাপাশি মামলার বয়ানে উল্লিখিত চার পার্টির কাছে নোটিস পাঠানোরও আবেদন করা হয়েছিল ৷ এর মধ্যে প্রথম তিন পার্টি বা পক্ষ হল কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷ চতুর্থ পার্টি হিসাবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) নাম উল্লেখ করা হলেও সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নোটিস পাঠাতে রাজি হয়নি ৷