আসানসোল, 17 ফেব্রুয়ারি: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পরদিন অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল স্টেশনে হুড়োহুড়ির ছবি সামনে আসে । প্রয়াগরাজের ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে প্রচণ্ড ভিড় সামলাতে হিমশিম খায় রেলপুলিশ ও আরপিএফ। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়, সেই কারণে আসানসোল রেল স্টেশনে রেলের নয়া ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ ৷
সোমবার আসানসোল স্টেশন সরেজমিনে দেখেন আসানসোল রেল ডিভিশনের এডিআরএম প্রবীণ কুমার প্রেম । রেল আধিকারিকদের সঙ্গে স্টেশনে ঘুরে কোথায় কী ব্যবস্থা করা হবে তা পরিকল্পনা করেন তিনি । মহাকুম্ভের বাকি দিনগুলিতে যাতে রেলযাত্রীদের কোনও অসুবিধা না হয় এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই নিয়ে সচেষ্ট রেল ।
এই বিষয়ে এডিআরএম প্রবীণ কুমার প্রেম জানান, 18 এবং 21 ফেব্রুয়ারি আসানসোল থেকে দুটি কুম্ভ স্পেশাল ট্রেন রয়েছে । এছাড়াও অনেক সাপ্তাহিক ট্রেন আছে যেগুলি আসানসোল স্টেশন হয়ে প্রয়াগরাজ যাবে । আগামী 26 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট 5টি ট্রেন আসানসোল স্টেশন থেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দেবে। যাত্রীরা যাতে হুড়োহুড়ি না করে বা কোনও ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, "জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে কিউ আকৃতির লাইন তৈরি করা হবে ব্যারিকেড দিয়ে । সেই লাইন দিয়ে যাত্রীদের ধীরে ধীরে প্রবেশ করানো হবে । এছাড়াও, 150 জন করে যাত্রীর এক একটা গ্রুপ তৈরি করে ধীরে ধীরে ভাগে ভাগে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করানো হবে । দিনের বেলাতেও ট্রেন আছে । ফলে প্রচণ্ড রোদে অপেক্ষা করার জন্য যাত্রীদের যাতে কোনও কষ্ট না হয় তার জন্য শেড তৈরি করা হবে । যাত্রীদের বসার জন্য স্টেশন চত্বরে রাখা হয়েছে প্রচুর চেয়ার । এছাড়াও, পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে । যাত্রীদের যাতে কোনওভাবেই অসুবিধা না হয় সেই দিকটি আমরা নিশ্চিত করছি ।"
আগামী কয়েকদিন কুম্ভমেলা যাওয়ার জন্য শেষ লগ্নে যে ভিড় হবে তা স্বাভাবিক ৷ সেটা সামলানোই রেলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ । তাই যাত্রী সুবিধার্থে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নিচ্ছে রেল যাতে দিল্লির মতো কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে আসানসোল রেল ডিভিশন ।