ETV Bharat / bharat

Supreme Court: পুলিশের নিয়োগে 'সর্বোচ্চ নৈতিক আচরণ' সবচেয়ে জরুরি, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 22, 2023, 2:13 PM IST

Supreme Court on Basic Requirement for Police Service: প্রমাণের অভাবে পকসো আইনে মুক্তি প্রাপ্তের পুলিশে নিয়োগে ছাড়পত্রের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, নিম্ন আদালত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়েছে ৷ সেই কারণে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এবং সেখানকার সরকারের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷

Supreme Court
Supreme Court

নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: পুলিশ ফোর্সের মতো দায়িত্বশীল নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নৈতিক আচরণ সবার আগে জুরুরি ৷ পকসো মামলায় প্রমাণের অভাবে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তির পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ৷ মধ্যপ্রদেশে 2015 সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে সেই ব্যক্তি পুলিশে কনস্টেবল পদে সুযোগ পান ৷ কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে আগে পকসো মামলা থাকায়, ওই ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল করে মধ্যপ্রদেশ সরকার ৷

বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘মামলাকারীকে নিম্ন আদালত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ৷ কারণ, পুলিশের তরফে যে মামলা তৈরি করা হয়েছিল, তা নাবালিকা নির্যাতিতা সমর্থন করেনি ৷ এমনকি মামলার সাক্ষীরা শেষ মুহূর্তে বয়ান বদল করেছিল ৷ এই পরিস্থিতি এই মামলার আবেদনকারী চাইছে তাঁকে একটি ফৌজদারি মামলা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়া হোক ৷ এটা কখনই সম্ভব নয় ৷’’

2015 সালের পকসো মামলায় মূল অভিযুক্ত (বর্তমান মামলাকারী) এবং তাঁর অন্যান্য সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে আটকে রাখা এবং তাঁর সম্ভ্রম নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে ৷ কিন্তু, সেই ঘটনায় পুলিশের তরফে পেশ করা চার্জশিট মানতে চাননি নির্যাতিতা ৷ এমনকি সেই মামলার সাক্ষীরাও বয়ান বদল করে ৷ যার ফলে নিম্ন আদালত মূল অভিযুক্তকে মুক্তি দেয় ৷

আরও পড়ুন: একই প্রমাণে এক অভিযুক্ত দোষী, আরেকজন বেকসুর খালাস নয়: সুপ্রিম কোর্ট

পরবর্তী সময়ে মূল অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে সুযোগ পান ৷ কিন্তু, পুলিশ ভ্যারিফিকেশনে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা পকসো মামলা এবং তাঁর বৃত্তান্ত সামনে আসে ৷ সেই কারণ, মধ্যপ্রদেশ পুলিশে তাঁর নিয়োগ খারিজ হয়ে যায় ৷ এর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট মামলাও করেছিলেন পকসো আইনে মুক্তি পাওয়া অভিযুক্ত ৷ রাজ্য পুলিশ সেই সময় আদলতে বিস্তারিত কারণ উল্লেখ করে জানিয়েছিল, মামলাকারী পুলিশের মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য নয় ৷

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পুলিশের সেই যুক্তিকে মান্যতা দেয় এবং মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ পরবর্তী সময়ে তিনি ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ৷ কিন্তু, শীর্ষ আদালতও মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছে ৷

নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: পুলিশ ফোর্সের মতো দায়িত্বশীল নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নৈতিক আচরণ সবার আগে জুরুরি ৷ পকসো মামলায় প্রমাণের অভাবে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তির পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ৷ মধ্যপ্রদেশে 2015 সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে সেই ব্যক্তি পুলিশে কনস্টেবল পদে সুযোগ পান ৷ কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে আগে পকসো মামলা থাকায়, ওই ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল করে মধ্যপ্রদেশ সরকার ৷

বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘মামলাকারীকে নিম্ন আদালত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ৷ কারণ, পুলিশের তরফে যে মামলা তৈরি করা হয়েছিল, তা নাবালিকা নির্যাতিতা সমর্থন করেনি ৷ এমনকি মামলার সাক্ষীরা শেষ মুহূর্তে বয়ান বদল করেছিল ৷ এই পরিস্থিতি এই মামলার আবেদনকারী চাইছে তাঁকে একটি ফৌজদারি মামলা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়া হোক ৷ এটা কখনই সম্ভব নয় ৷’’

2015 সালের পকসো মামলায় মূল অভিযুক্ত (বর্তমান মামলাকারী) এবং তাঁর অন্যান্য সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে আটকে রাখা এবং তাঁর সম্ভ্রম নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে ৷ কিন্তু, সেই ঘটনায় পুলিশের তরফে পেশ করা চার্জশিট মানতে চাননি নির্যাতিতা ৷ এমনকি সেই মামলার সাক্ষীরাও বয়ান বদল করে ৷ যার ফলে নিম্ন আদালত মূল অভিযুক্তকে মুক্তি দেয় ৷

আরও পড়ুন: একই প্রমাণে এক অভিযুক্ত দোষী, আরেকজন বেকসুর খালাস নয়: সুপ্রিম কোর্ট

পরবর্তী সময়ে মূল অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে সুযোগ পান ৷ কিন্তু, পুলিশ ভ্যারিফিকেশনে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা পকসো মামলা এবং তাঁর বৃত্তান্ত সামনে আসে ৷ সেই কারণ, মধ্যপ্রদেশ পুলিশে তাঁর নিয়োগ খারিজ হয়ে যায় ৷ এর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট মামলাও করেছিলেন পকসো আইনে মুক্তি পাওয়া অভিযুক্ত ৷ রাজ্য পুলিশ সেই সময় আদলতে বিস্তারিত কারণ উল্লেখ করে জানিয়েছিল, মামলাকারী পুলিশের মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য নয় ৷

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পুলিশের সেই যুক্তিকে মান্যতা দেয় এবং মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ পরবর্তী সময়ে তিনি ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ৷ কিন্তু, শীর্ষ আদালতও মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.