কান্ধমাল (ওড়িশা), 5 অগস্ট: গাঁজা পাচার করছে খোদ পুলিশ ! সোশাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই রণক্ষেত্রে ওড়িশার কান্ধমাল জেলা ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার জেলার ফিরিঙ্গিয়া থানায় ঢুকে আগুন ধরিয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা ৷ ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের উপর হামলাও চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা এসডিপিও'কে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ ৷ তাঁকে মারধরের ভিডিয়োও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ৷
এই ঘটনায় ফিরিঙ্গিয়া থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এদিন স্থানীয়রা ফিরিঙ্গিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেই গাঁজা পাচারের মারাত্মক অভিযোগ আনে ৷ তারপরই তাঁরা থানায় আগুন ধরিয়ে দেন ৷ এ বিষয়ে আইজি (সাদার্ন রেঞ্জ) সত্যব্রত ভোই জানিয়েছেন, ক্ষিপ্ত জনতা থানার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৷ বেশকিছু নথিপত্র পুড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি ঘণ্টার পর ঘণ্টা, ফুলবনি-ফিরিঙ্গিয়া-বালিগুদা সড়ক অবরোধ করে রাখে ৷ এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে ৷
আরও পড়ুন: বেহালাকাণ্ডে 2 টি ট্রাফিক গার্ডে হামলা, পুড়ল ভ্যান, নথি নিয়ে পালানোর অভিযোগ
আইজি (সাদার্ন রেঞ্জ) আরও জানান, ঘটনায় থানার কিছু পুলিশ কর্মী-আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিক্ষোভস্থলে যান ৷ কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের হটিয়ে দেওয়া হয় ৷ স্থানীয় ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ এবং অন্য দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা ৷ যথাযথভাবে গাজা পাচারের বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানান সত্যব্রত ভোই ৷ একইসঙ্গে কয়েকঘণ্টার প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানান তিনি। আন্দোলনকারীরা দাবি জানিয়েছেন, গাঁজা পাচারের বিষয়টি এর আগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আনা হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় জড়িত ফিরিঙ্গিয়া থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ও আরও দুই পুলিশকর্মীকে কাম্বাগুড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ অভিযোগ গ্রামবাসীদের ৷
আরও পড়ুন: 'বামফ্রন্টের পুলিশ হলে গুলিতে মৃত্যুমিছিল হত', কালিয়াগঞ্জে হামলাকারীদের গ্রেফতারির দাবি কুণালের