ভরতপুর (রাজস্থান), 20 ফেব্রুয়ারি: হরিয়ানার ভিওয়ানিতে পুড়ে যাওয়া দু’টি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে (Bhiwani Double Murder) ৷ ওই ঘটনায় স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের হাত ছিল ৷ এমনই তথ্য একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় (Viral Video) উঠে এসেছে ৷ ভিডিয়োতে যিনি এই কথা বলছেন, তিনি রাজস্থানের গোপালগড় থানার হাউস অফিসার বা এসএইচও রাম নরেশ মীনা ৷ ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে নিজের চেম্বারে বসেই এই কথা কয়েকজনকে বলছেন তিনি ৷ এই নিয়ে যে ভিডিয়ো রেকর্ডিং হচ্ছিল, তা সম্ভবত তিনি জানতেন না ৷ তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
তাঁকে বলতে শোনা যায় যে এই দু’জনকে প্রথমে ধরে কয়েকজন স্বঘোষিত গোরক্ষক (Cow Vigilantes) ৷ এঁদের বিরুদ্ধে গরুপাচারের (Cow Smuggling) অভিযোগ তোলা হয় ৷ তার পর জুনায়েদ ও নাসির নামে ওই দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ তার পর তাদের পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ যদিও পুড়িয়ে দেওয়ার আগে অভিযুক্তরা ওই দু’জনকে গরুপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার করাতে হরিয়ানা পুলিশের কাছে যায় । দু’জনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হরিয়ানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে অস্বীকার করে । এরপর অভিযুক্তরা নাসির ও জুনায়েদকে একটি এসইউভিতে করে হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার একটি গ্রামে নিয়ে যায় ।
ভিডিয়োতে ওই পুলিশ আধিকারিককে বলতে শোনা যায় যে মারধরের জেরে একজনের মৃত্যু হয় ৷ তার পরই প্রমাণ লোপাটে ওই দু’জনকে নিয়ে হরিয়ানার ভিওয়ানির কাছে জঙ্গল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় দু’জনকে ৷ পরে সেই পোড়া দেহই উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত মনু রানা, অনিল মুর্থাল ও বিকাশ আর্য । রিংকু সাইনিও এই ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্তদের একজন । তবে রিংকুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়ার পর গুলিতে যুগলের মৃত্যু, অনার কিলিং নাকি আত্মহত্যা ?