শিমলা, 30 ডিসেম্বর: জঙ্গলে লুকিয়েও কোনও লাভ হল না ৷ পুলিশের তল্লাশিতে ধরা পড়ে গেলেন স্ত্রী খুনে অভিযুক্ত স্বামী (Police Arrest Husband) ৷ হিমাচলপ্রদেশের (Himachal Pradesh) শিমলার (Shimla) ঘটনায় নিহত মহিলা এবং তাঁর খুনে অভিযুক্ত স্বামী, দু'জনই আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম পুষ্পিতা উরভ ৷ তাঁর স্বামী নেমল উরভ ৷ তাঁরা দু'জনই পরিযায়ী শ্রমিক ৷ রুজিরুটির টানে এসেছিলেন শিমলায় ৷ তথ্য বলছ, 30-40 দিন আগেই পার্বত্য এই শহরে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল এই দম্পতি ৷ পুলিশের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুষ্পিতা ও নেমলের মধ্যে রোজ ঝগড়া হত ৷ নেমলের দাবি, তাঁর কোনও কথাই নাকি শুনতেন না পুষ্পিতা ৷ সবকিছু নিয়েই তর্ক করতেন ৷ স্বামী হিসাবে স্ত্রীর এই আচরণ পছন্দ ছিল না নেমলের ৷
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া কুমারী হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার দেওর সন্দীপ কুমার
ঘটনার দিনও ঝগড়া করছিলেন স্বামী-স্ত্রী ৷ সেই সময়েই একটি লোহার রড দিয়ে পুষ্পিতাকে পেটাতে শুরু করেন নেমল ৷ তাতেই প্রাণ যায় ওই মহিলার ৷ এরপর ভাড়া বাড়ি ছেড়ে শহর লাগোয়া জঙ্গলে গা-ঢাকা দেন নেমল ৷ এদিকে, খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ৷ মাত্র দু'ঘণ্টার চেষ্টাতেই নেমলকে জঙ্গল থেকে খুঁজে বের করে তারা ৷ পুলিশের দাবি, নেমল তাঁদের কাছে অপরাধ কবুল করেছেন ৷
এদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখে, ভাড়া ঘরের মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পুষ্পিতা ৷ তাঁর দেহে তখন প্রাণ ছিল না বলে দাবি পুলিশের ৷ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ৷ অন্যদিকে, ধরা পড়ার পর দাম্পত্য কলহকেই এই খুনের কারণ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত নেমল ৷
তবে, কী কারণ নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হত, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ নেমলের দাবি, স্ত্রী তাঁর কোনও কথা শুনতেন না ৷ কিন্তু, কেন তিনি এই আচরণ করতেন, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ ৷ পুষ্পিতা ঝগড়ুটে ছিলেন, নাকি স্বামীর কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য সরব হতেন, সেসবই বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ তাছাড়া, রাগের মাথায় নেমল তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন, নাকি এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ কারণ, ভিনরাজ্য়ে আসার পর একমাস কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তাতে সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারীদের ৷ হতে পারে, খুন করার জন্যই স্ত্রীকে এখানে এনেছিলেন নেমল ৷ এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে শিমলার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতে পারে বলে দাবি সূত্রের ৷