নয়াদিল্লি,4 জুলাই: প্রথমবার সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশন বৈঠকের সভাপতিত্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলে শুরু সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষক বৈঠক । এই বছরের বৈঠকের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক রয়েছে। একদিকে ভারতের সভাপতিত্ব। অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের এসসিও বৈঠকে যোগদান। রাশিয়ায় ওয়াগনার বাহিনীর দাপাদাপির মাঝেই রুশ প্রেসিডেন্টের বৈঠকে যোগ তাৎপর্যপূর্ণ।
বৈঠকে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত ভারত, রাশিয়া ছাড়াও চিন, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশ যোগ দেবে। ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। মূলত রাশিয়া, চিন, ভারত, পাকিস্তান, কাজাকাস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজকাস্তান, উজবেকিস্তান এই আট দেশ এসসিওর পূর্ণাঙ্গ সদস্য। 2022 সালে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও সামিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে ভারত। এবার সরাসরি সভাপতিত্বের দায়িত্বে।
-
PM @narendramodi is set to virtually chair the Summit of the SCO Council of Heads of State tomorrow.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) July 3, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
🎥 Take a quick look into India’s first-ever SCO Chairmanship. pic.twitter.com/U2dNL9Cv0u
">PM @narendramodi is set to virtually chair the Summit of the SCO Council of Heads of State tomorrow.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) July 3, 2023
🎥 Take a quick look into India’s first-ever SCO Chairmanship. pic.twitter.com/U2dNL9Cv0uPM @narendramodi is set to virtually chair the Summit of the SCO Council of Heads of State tomorrow.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) July 3, 2023
🎥 Take a quick look into India’s first-ever SCO Chairmanship. pic.twitter.com/U2dNL9Cv0u
প্রতিটা দেশ বৈঠকে নিজেদের এজেন্ডা সামনে রাখলেও আফগানিস্তান ও ইউক্রেনই আলোচান মূল বিষয়বস্তু বলেই দিল্লি সূত্রের খবর। পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হবে। আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষরের খাতে এগোবে বেশ কয়েকটি দেশ। কৌশলী ভূমিকায় ভারত, চিন , রাশিয়া ও পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের মত, আমেরিকাকে দেখাতেই ভারত-চিনের সঙ্গে এসসিও সামিটে বসছেন পুতিন। চিনের বিআরআই বা বেল্ট অ্যান্ড রোড রোড ইনিশিয়েটিভ ঘিরে বিরোধিতার সম্ভাবনা। পাকিস্তানের আর্থিক দুরবস্থাও বৈঠকে গুরুত্ব পাবে। এর মাঝেই চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারত কতটা ভারসাম্য বজায় রাখবে সেই বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
এসসিও ও জি-20 সামিটে ভারতের সভাপতিত্ব দেশকে আন্তর্জাতিক খাতে এগিয়ে রাখছে। কয়েকদিন আগেই মার্কিন সফরে গিয়ে মোদি-বাইডেন কূটনৈতিক বন্ধুত্ব ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে নয়া পালকের কাজ করছে। পরারষ্ট্র সম্পর্কে ভারত নিরাপদ অবস্থানে। যেখানে ভারতকে 'বন্ধু' দেশ বলছেন মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট। চিনের সঙ্গেও বাণিজ্য বহাল রেখে ভারত কূটনৈতিক সেতুকে পোক্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের উপ দায়িত্ব যেমন অনেকটা, তেমনই অনেকটাই অগ্নিপরীক্ষার মুখে নরেন্দ্র মোদি। কারণ, মোদি জমানাতেই 2017 সালে এসসিও গোষ্ঠীতে পূর্ণাঙ্গ সদস্য হয় ভারত। 2023 সালে সেই এসসিও বৈঠকের সভাপতিত্বের দায়িত্বে মোদি।