লখনউ, 28 ডিসেম্বর: শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 3 ঘণ্টার অযোধ্যা সফর ঘিরে সতর্ক দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। সংস্কারের পর সেদিন অযোধ্যার রেল স্টেশন ও বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন মোদি। এই সফরকে ঘিরেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যাকে। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন 3 জন ডিজি, 17 জন পুলিশ সুপার, 40 জন সহকারি পুলিশ সুপার, 82 জন যুগ্ম পুলিশ সুপার, 90 জন ইন্সপেক্টর, 325 জন সাব-ইন্সপেক্টর, 33 জন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর এবং 2000 কনস্টেবল। এর পাশাপাশি 450 জন ট্রাফিক পুলিশ এবং 14 কোম্পানি পিএসি এবং 6 কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন থাকছে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে গোটা অযোধ্যা শহরই সেনা ছাউনির চেহারা নিয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই বদলাল অযোধ্যা স্টেশনের নাম। নতুন নাম হল 'অযোধ্যা ধাম' স্টেশন।
নিরাপত্তার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম লাগু হচ্ছে। বাস বা ওই ধরনের ভারী গাড়িতে এখন অযোধ্যা যেতে চাইলে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তী সময়ে লখনউ বা গোন্ডা থেকে অযোধ্যায় আসা কয়েকটি রাস্তায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে লোকসভা কক্ষে প্রবেশ করে দু'জন। তাদের সঙ্গে থাকা স্মোকক্যান থেকে ধোঁয়া বেরতে থাকে। ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাংসদরা। সংসদ চত্বরে স্লোগান দিতে থাকে আরও দু'জন। দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানে এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই বাড়তি সতর্ক এনএসজি থেকে শুরু করে এটিএস এবং এসটিএফের মতো সংস্থাগুলি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার দিল্লির চাণক্যপুরী এলাকায় ইজরায়েল দূতাবাসের বাইরে একটি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তাতে হতাহতের খবর না থাকলেও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন আবশ্যিকভাবেই উঠেছে। ইজরায়েল আবার এই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বলে মনে করছে। এমনই সমস্ত ঘটনাকে মাথায় রেখে মোদির অযোধ্যা সফর নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন।
আরও পড়ুন: