নিউ দিল্লি, 5 মে : বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গের শাসনব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে ৷ তাই এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করা, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ, আর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রাক্তন কোনো বিচারপতিকে দিয়ে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিংসার (টার্গেটেড পগরম) তদন্ত করা উচিত ৷ মঙ্গলবার এই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছে তামিলনাড়ুর "ইনডিক কালেকটিভ ট্রাস্ট" সংস্থা, তাদের আইনজীবী সুভিদত্ত এম এস-র মাধ্যমে ৷
2 মের পর রাজ্যজুড়ে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে ৷ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, আর রাজ্যবাসীর স্বাধীনতা আর নিরাপত্তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এমনকি বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে ৷ তাদের বাড়ি ভাঙচুর, এলাকায় বোমাবাজি, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, লুঠপাট চালানো, অপহরণ, বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করছেন তৃণমূল সমর্থকেরা ৷ এই অভিযোগ জানিয়ে আবেদনে লেখা হয়েছে "পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে ঘোষণা করে সংবিধানের 356 ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক ৷"
আরও পড়ুন: এবার তামিলনাডু, অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে মৃত্যু 11 জনের
পশ্চিমবঙ্গের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ আর এখুনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক রাজ্যে ৷ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী কমিটি তৈরি করা হোক অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য ৷
"রাজ্যবাসীর জীবন আর সম্পত্তির রক্ষার্থে পরিত্রাণের এই উপায়গুলি অবশ্য প্রয়োজনীয় ৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য, সমর্থকেরা এই তাণ্ডব চালিয়ে সংবিধানের 21 নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে ৷"
এদিন রাজ্যের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়াও সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন ৷
গতকাল বিজেপি দাবি জানায়, ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে 12 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তার মধ্যে 9 জন তাদের দলের সমর্থক ৷