নয়াদিল্লি, 14 নভেম্বর: ইস্তানবুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে (Istiklal Pedestrian Street) রবিবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷ এই ব্যক্তিই বিস্ফোরণ স্থলে বোমাটি রেখে এসে ছিল বলে সোমবার জানিয়েছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু (Turkish Interior Minister Suleyman Soylu) । রাষ্ট্র পরিচালিত আনাদোলু সংস্থার টুইটার অ্যাকাউন্ট অনুসারে এমনটাই জানা গিয়েছে ।
রবিবার তুর্কি মিডিয়ার তরফে জানা গিয়েছে, ইস্তানবুলের জনপ্রিয় রাস্তা ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে বিস্ফোরণে 11 জন আহত হয়েছেন । অন্যদিকে বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত বহু মানুষ তাঁদের মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো রেকর্ডিং শুরু করে দেন । ইতিমধ্যেই সেইসব ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে । তাতে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের জেরে রাস্তার বেশ খানিকটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের গাড়ি এবং পুলিশকেও আসতে দেখা গিয়েছে কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজে ।
জানা গিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ব্যস্ত রাস্তায় বিস্ফোরণকে 'বিশ্বাসঘাতক হামলা' বলে অভিহিত করেছেন ৷ তিনি নিশ্চিত করেছেন যে এই ঘটনায় 6 জন মারা গিয়েছে এবং 53 জন আহত হয়েছেন । তিনি এই হামলার পিছনে কারা ছিল তা জানাননি ৷ তবে তিনি এও জানান, এই ঘটনায় সন্ত্রাস ছড়ানোর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে ৷ প্রেসিডেন্ট বিশদে কিছু বিবরণ দেননি ৷ কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয় ।
রবিবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ৷ আগে তুর্কির জনগণের কাছে বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের ঘটনা সাধারণ ব্যাপার ছিল । তবে 2015 থেকে 2017 সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি মারাত্মক বোমা হামলার শিকার হয় দেশটি ৷ কিছু ইসলামিক স্টেটের গোষ্ঠী এবং অন্যদিকে কুর্দিশ জঙ্গিরা এই বিস্ফোরণের ঘটনাগুলি ঘটায় ৷ যারা স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা চায় ৷
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইস্তানবুলের ব্যস্ত রাস্তা, জখম অন্তত 11
আইন মন্ত্রী বেকির বোজদাগ জানান, তদন্তকারীরা একজন মহিলার দিকে লক্ষ্য করছেন ৷ যিনি প্রায় 40 মিনিট ধরে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলের পাশে একটি বেঞ্চে বসেছিলেন । তিনি চলে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর বিস্ফোরণটি ঘটে । তিনি আরও জানান, ওই মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী থাকতে পারে, তাও স্পষ্ট নয় ।