চামরাজনগর (কর্ণাটক), 28 মে: একদিকে তাপমাত্রার পারদ নামার নাম নিচ্ছে না ৷ গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কর্ণাটকবাসীর ৷ অন্যদিকে এই গরমে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের পাখাগুলি ৷ তার জেরে বেজায় বিপাকে পড়েছে রোগীরা ৷ তাই তাদের ভরসা এখন পরিবারের আনা টেবিল ফ্যান ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের চামরাজনগর শহরে ৷ চামরাজনগর মা ও শিশু হাসপাতালের সবকটি পাখা বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের ৷
এই হাসপাতালে ভরতি রয়েছে শিশু সমেত অনেক প্রসূতি ৷ কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ থাকলেও চলছে না পাখা ৷ এর ফলে ভরতি রোগীরা গরমে কষ্ট পাচ্ছেন ৷ তাই তাদের বাড়ি থেকে আনা হচ্ছে হাসপাতালের জন্য টেবিল ফ্যান ৷ এভাবে নিজেদের টাকায় পাখা কিনে হাসপাতালে ব্যবহার করছে একের পর এক রোগী । এই সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে দাবি রোগীর পরিবারের ৷ তারা জানান, বার বার হাসপাতালে সমস্যার কথা বলা হয়েছে ৷ তাতে কোনও সুরাহা হয়নি ৷ যত তাপমাত্রার পারদ চড়ছে ৷ দিন দিন সমস্যা আরও বাড়ছে ৷
এই হাসপাতালে ভরতি একজন রোগীর আত্মীয় গুরুমূর্তি বলেন, "এটি চামরাজনগর জেলার একটি হাসপাতাল । এখানে রোগীদের জন্য কোনও সুযোগ-সুবিধা নেই । নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিস কিনতে আমাদের নিজেদের টাকাই খরচ করতে হয় । হাসপাতালে পাখার কোনও ব্যবস্থা নেই । হাসপাতালে ঘুমানোর জন্য রোগী বা তাদের পরিবারেরা বাইরে থেকে পাখা নিয়ে আসেন ।"
প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের এরকমই ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেখানকার ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পোস্টার পড়েছিল হাসপাতাল চত্বর জুড়ে ৷ রোগী ভরতি করতে আসলে পাখা আনার কথা বলা হয়েছিল সেই পোস্টারে ৷ ওই ঘটনায় হাসপাতালের করুণ দশা ধরা পড়েছিল ৷ হাসপাতালে পাখা থাকার সত্ত্বেও সেগুলি ঠিকঠাক না চলায় এই পোস্টার পড়েছিল ৷
আরও পড়ুন: রোগী ভরতির সময় পাখা আনবেন, পোস্টার ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে