ETV Bharat / bharat

পেনশনের করুণ দশা

author img

By

Published : Mar 12, 2021, 11:26 AM IST

আশা করা হচ্ছে এবার দফতরের তরফে পেনশন বাড়াতে সদিচ্ছামূলক পদক্ষেপ করা হবে । স্থায়ী কমিটির মতে, অসহায় মানুষদের দায়িত্ব যে তাদেরই, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত সরকারের ।

pathetic pensions
পেনশনের করুণ দশা

সুপ্রিম কোর্ট তার আগের একটি রায়ে বলেছিল – গরিব, দুর্বল ও কোণঠাসা মানুষদের স্বার্থরক্ষার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সরকারের কাছে আর কিছুই নেই। গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট বলছে, এই কল্যাণমূলক ভাবনা কোথাও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে । সমাজকল্যাণ পেনশনের বৃদ্ধি না হওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে কমিটি । বলা হয়েছে, সমাজের কোণঠাসা অংশের জন্য এই পেনশন আদতে নামমাত্র ।

দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলোতে প্রবীণদের জন্য যে ভাতা রয়েছে, তা মাসে মাত্র 200 থেকে 500 টাকা । চল্লিশ বছরের ওপরে গরিব বিধবাদের যে পেনশন রয়েছে, তা 300 থেকে 500 টাকা । 18 থেকে 79 বছরের মধ্যে যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম, তাঁদের ভাতার অঙ্ক মাসে মাত্র 300 টাকা । এই সামান্য অঙ্কে কি আদৌ কোনও উপকার হয় ? টাকা বাড়ানোর সুপারিশে কোনও কর্ণপাতই করেনি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক । আশা করা হচ্ছে এবার দফতরের তরফে পেনশন বাড়াতে সদিচ্ছামূলক পদক্ষেপ করা হবে । স্থায়ী কমিটির মতে, অসহায় মানুষদের দায়িত্ব যে তাদেরই, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত সরকারের ।

শারীরিকভাবে অক্ষম, যাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়াবার সামর্থ্য নেই, অসহায় বিধবা এবং খিদের জ্বালায় জ্বলতে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রতি উদাসীনতা একটা নিন্দনীয় বিষয় । সমাজের এই অংশের দিকে এই ঢিলেমির মনোভাব কল্যাণব্রতী রাষ্ট্রের ভাবনার পরিপন্থী ।

বার্ধক্যের অভিশাপ হল একাকীত্ব । যখন একজন দারিদ্রক্লিষ্ট প্রবীণ মানুষ অসুস্থ হন, তাঁর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে । জাতীয় পরিবার কল্যাণ দফতর এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেসের করা একটি যৌথ সমীক্ষা বহু তিক্ত সত্যকে সামনে এনেছে । এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ষাট বছরের ওপরের 40 শতাংশ মানুষই জীবনধারণের জন্য এখনও কাজ করে চলেছেন । 2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী, বয়স্কদের সংখ্যা এদেশে 10.3 কোটি । প্রত্যেক বছরই সংখ্যাটা 3 শতাংশ করে বৃদ্ধি পায় ।

সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রবীণদের অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন ক্রনিক অসুখে ভুগছেন । পরিসংখ্যান বলছে, যে গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে অংশ নেওয়া 20 শতাংশ মানুষই প্রবীণ । গরিবদের মধ্যে তিন শতাংশেরও কম প্রবীণ বার্ধক্যভাতা পান ।

স্থায়ী কমিটি আরও জানিয়েছে, এমএনআরইজিএস প্রকল্প, যা কোভিড কালে প্রবীণ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান দিয়েছে, তার পারিশ্রমিক একেক রাজ্যে একেক রকম। ছত্তিসগড়ে 190 টাকা, দুই তেলেগুভাষী রাজ্যে 237 টাকা এবং হরিয়ানায় তা 309 টাকা । মজুরির বৈষম্যের পাশাপাশি স্থায়ী কমিটি তুলে ধরেছে মজুরি দিতে দেরির বিষয়টিকেও। সরকারকে অবিলম্বে সেইসব খামতি মেটাতে উদ্যোগী হয়ে হবে, যেগুলো প্রকল্পের উদ্দেশ্যটাকেই ধাক্কা দিচ্ছে ।

আরও পড়ুন : 75 বছর বা তার বেশি বয়সিদের পেনশন থেকেই আয় হলে ফাইল করতে হবে না আয়কর রিটার্ন

গত দু’বছরে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রবীণ, বিধবা ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের ভাতা বাড়ানো নিয়ে তাঁদের সদিচ্ছার কথা বহুবার বলেছে । কিন্তু তাদের প্রস্তাব এখনও কার্যকর হয়নি । আর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, উন্নয়ন ততক্ষণ অসম্পূর্ণ, যতক্ষণ না তার সুফল গরিবের কাছে পৌঁছয় ।

সুপ্রিম কোর্ট তার আগের একটি রায়ে বলেছিল – গরিব, দুর্বল ও কোণঠাসা মানুষদের স্বার্থরক্ষার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সরকারের কাছে আর কিছুই নেই। গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট বলছে, এই কল্যাণমূলক ভাবনা কোথাও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে । সমাজকল্যাণ পেনশনের বৃদ্ধি না হওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে কমিটি । বলা হয়েছে, সমাজের কোণঠাসা অংশের জন্য এই পেনশন আদতে নামমাত্র ।

দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলোতে প্রবীণদের জন্য যে ভাতা রয়েছে, তা মাসে মাত্র 200 থেকে 500 টাকা । চল্লিশ বছরের ওপরে গরিব বিধবাদের যে পেনশন রয়েছে, তা 300 থেকে 500 টাকা । 18 থেকে 79 বছরের মধ্যে যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম, তাঁদের ভাতার অঙ্ক মাসে মাত্র 300 টাকা । এই সামান্য অঙ্কে কি আদৌ কোনও উপকার হয় ? টাকা বাড়ানোর সুপারিশে কোনও কর্ণপাতই করেনি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক । আশা করা হচ্ছে এবার দফতরের তরফে পেনশন বাড়াতে সদিচ্ছামূলক পদক্ষেপ করা হবে । স্থায়ী কমিটির মতে, অসহায় মানুষদের দায়িত্ব যে তাদেরই, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত সরকারের ।

শারীরিকভাবে অক্ষম, যাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়াবার সামর্থ্য নেই, অসহায় বিধবা এবং খিদের জ্বালায় জ্বলতে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রতি উদাসীনতা একটা নিন্দনীয় বিষয় । সমাজের এই অংশের দিকে এই ঢিলেমির মনোভাব কল্যাণব্রতী রাষ্ট্রের ভাবনার পরিপন্থী ।

বার্ধক্যের অভিশাপ হল একাকীত্ব । যখন একজন দারিদ্রক্লিষ্ট প্রবীণ মানুষ অসুস্থ হন, তাঁর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে । জাতীয় পরিবার কল্যাণ দফতর এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেসের করা একটি যৌথ সমীক্ষা বহু তিক্ত সত্যকে সামনে এনেছে । এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ষাট বছরের ওপরের 40 শতাংশ মানুষই জীবনধারণের জন্য এখনও কাজ করে চলেছেন । 2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী, বয়স্কদের সংখ্যা এদেশে 10.3 কোটি । প্রত্যেক বছরই সংখ্যাটা 3 শতাংশ করে বৃদ্ধি পায় ।

সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রবীণদের অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন ক্রনিক অসুখে ভুগছেন । পরিসংখ্যান বলছে, যে গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে অংশ নেওয়া 20 শতাংশ মানুষই প্রবীণ । গরিবদের মধ্যে তিন শতাংশেরও কম প্রবীণ বার্ধক্যভাতা পান ।

স্থায়ী কমিটি আরও জানিয়েছে, এমএনআরইজিএস প্রকল্প, যা কোভিড কালে প্রবীণ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান দিয়েছে, তার পারিশ্রমিক একেক রাজ্যে একেক রকম। ছত্তিসগড়ে 190 টাকা, দুই তেলেগুভাষী রাজ্যে 237 টাকা এবং হরিয়ানায় তা 309 টাকা । মজুরির বৈষম্যের পাশাপাশি স্থায়ী কমিটি তুলে ধরেছে মজুরি দিতে দেরির বিষয়টিকেও। সরকারকে অবিলম্বে সেইসব খামতি মেটাতে উদ্যোগী হয়ে হবে, যেগুলো প্রকল্পের উদ্দেশ্যটাকেই ধাক্কা দিচ্ছে ।

আরও পড়ুন : 75 বছর বা তার বেশি বয়সিদের পেনশন থেকেই আয় হলে ফাইল করতে হবে না আয়কর রিটার্ন

গত দু’বছরে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রবীণ, বিধবা ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের ভাতা বাড়ানো নিয়ে তাঁদের সদিচ্ছার কথা বহুবার বলেছে । কিন্তু তাদের প্রস্তাব এখনও কার্যকর হয়নি । আর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, উন্নয়ন ততক্ষণ অসম্পূর্ণ, যতক্ষণ না তার সুফল গরিবের কাছে পৌঁছয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.