অমৃতসর, 19 মার্চ: পালিয়ে গিয়েছেন অমৃতপাল সিং ৷ তারপরই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হল 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-র প্রধানের গ্রাম ৷ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জাল্লুখেরা গ্রামে ৷ পাশাপাশি পঞ্জাবের বহু জেলায় 144 ধারা জারি করা হয়েছে ৷ শনিবার বিকেল নাগাদ খালিস্তানপন্থী এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ আর এদিন রাতেই তিনি পালিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে (Jallukhera village under strict vigilance after the arrest and eventual escape of Amritpal Singh) ৷
এমনকী যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অমৃতপাল সিংয়ের গ্রামটিকে কার্যত সিল করে দিয়েছে পুলিশ ৷ রাজ্যের বাকি অংশের সঙ্গে এই গ্রামের যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন ৷ রবিবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ৷ অমৃতপালের সমর্থকরা যে কোনও সময় যে কোনও রকমের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ ৷ তাই নিরাপত্তার এই বিশেষ পদক্ষেপ পুলিশ প্রশাসনের ৷ গ্রামটিকে চারদিক দিয়ে পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে আধাসামরিক বাহিনী ৷
এই ঘটনার পর অমৃতপালের বাবা বলেন, "আমার ছেলে যখন একটা অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল, তখন পুলিশ তাঁর পিছু নেয় ৷ পুলিশ কেন আমাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে ? এই ধরনের কাজ না করে পুলিশ মাদকপাচার বন্ধ করার দিকে নজর দিক ৷" তিনি আরও জানান, তরুণদের যদি মাদকের আসক্তি থেকে বাঁচানো যায়, তাহলে পঞ্জাবের অনেক উন্নতি হবে ৷ অমৃতপালে বাবার আরও দাবি, তাঁরা এখনও জানেন না আদৌ অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না ৷ পুলিশ তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ৷ অমৃতপালের পরিবার তাতে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে ৷
জানা গিয়েছে, খালসা ওয়াহিরের অংশ হিসেবে অমৃতপালের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল ৷ সেটি ভাতিন্ডার চৌকি গ্রামে ৷ গুরভাই আন্দোলন এই অনুষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য ৷ তাই অমৃতপাল তাঁর বিশাল সংখ্যক সমর্থকদের জমায়েত হতে অনুরোধ করেন ৷ এই অনুষ্ঠানেই অমৃত সঞ্চার পরিচালনার কথা ছিল ৷ তার আগে শনিবার পঞ্জাবের জলন্ধরে নাকোদার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপাল সিং এবং 6 জন অনুগামীকে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসে অমৃতপাল তাঁর সংগঠন ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র সদস্যদের নিয়ে অজনালা পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র আক্রমণ করেছে ৷
আরও পড়ুন: অমৃতপাল সিং ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেফতার করল পুলিশ, পঞ্জাবে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা