হায়দরাবাদ, 29 সেপ্টেম্বর : পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন ৷ 24 ঘণ্টা পর নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন নভজ্যোত সিং সিধু ৷ এদিন সোস্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো বার্তায় সিধু বলেন, কারও সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই, তিনি শুধুমাত্র দেশের জন্য কাজ করতে চান ৷
সিধুর কথায়, "কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই ৷ 17 বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি মানুষের ভাল করার চেষ্টা করেছি, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি ৷ এটাই আমার একমাত্র ধর্ম ৷ আমি নিজের আদর্শ-নীতির পথ থেকে সরব না ৷ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস করব না ৷ আমি দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্জাবের স্বার্থে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে লড়াই করছি ৷" কংগ্রেস হাইকমান্ডকে অস্বস্তিতে ফেলা যে তাঁর উদ্দেশ্য নয় এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি ৷
পঞ্জাবের পুলিশ-প্রশাসনে যে দুর্নীতি রয়েছে এদিন নিজের ভিডিয়ো বার্তায় সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন সিধু ৷ উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই একটি টুইট করে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি ৷ মাত্র কয়েক মাস আগেই তাঁকে এই পদে এনেছিল কংগ্রেস হাই কমান্ড ৷ নিজের পদত্যাগপত্রে সিধু লিখেছেন, "যখন আপস করার পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন একজন মানুষের চরিত্র নষ্ট হয়ে যায় ৷ আমি কখনও পঞ্জাবের ভবিষ্যৎ ও উন্নতির সঙ্গে আপস করব না ৷" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়লেও তিনি যে কংগ্রেস ছাড়ছেন না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি ৷
নভজ্যোত সিং সিধু নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করার পরেই দলের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তিন কংগ্রেস নেতা ৷ সিধুর পাশে দাঁড়িয়ে পদত্যাগ করেছেন পঞ্জাবের ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ৷ আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন পঞ্জাবে ৷ তার আগে সিধুর এই পদত্যাগ কংগ্রেসের অন্দরে কী প্রভাব ফেলে সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ৷