নয়াদিল্লি, 20 অক্টোবর: ফাইবারনেট কেলেঙ্কারির মামলায় আগাম জামিন চেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর আবেদনের শুনানি আগামী 9 নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট ।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে নাইডুর হয়ে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা ৷ শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে ৷ তিনি বেঞ্চকে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার থেকে অন্তর্বর্তী সুরক্ষা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন । লুথরা বলেন, "আমি এটা আপনারদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি... অন্যথায়, এই আবেদন নিষ্ফল হয়ে যাবে ৷" শুনানির সময় বেঞ্চ লুথরাকে জিজ্ঞাসা করে, "রায় (নাইডুর অন্য আবেদন নিয়ে) দেওয়া পর্যন্ত কি অপেক্ষা করা উচিত ?"
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের একজন সিনিয়র কৌঁসুলি লুথরার আবেদনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘‘একজন ব্যক্তি একবার হেফাজতে থাকলে, সবসময় গ্রেফতারের প্রশ্নই ওঠে না ।’’ বেঞ্চ ফাইবারনেট কেলেঙ্কারির মামলায় নাইডুকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ৷ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের আইনজীবীকে বলে যে নাইডু ইতিমধ্যেই হেফাজতে রয়েছে এবং তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ।
অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারি কৌঁসুলি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হবে এবং যতক্ষণ না তাঁরা নাইডুকে তাঁদের হেফাজতে দেখাতে না পারছে, ততক্ষণ তাঁরা পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করতে পারবেন না । এই যুক্তিগুলির বিরোধিতা করে লুথরা তখন সওয়াল করেন, এটি আইনের সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা ৷ গত 9 সেপ্টেম্বর যখন নাইডুকে হেফাজতে নেওয়া হয়, তখন থেকে তারা তাঁকে কোনও প্রশ্ন করেনি ।
বেঞ্চ 9 নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেহেতু আদালত ইতিমধ্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট মামলার রায় সংরক্ষণ করে রেখেছে । স্কিল ডেভেলপমেন্ট মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে এফআইআর বাতিলের আবেদন করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু ৷ সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ৷
ফাইবার নেট মামলাতেও অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি ৷ আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ৷ কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট ৷ সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে স্পেশাল লিভ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেন তিনি ৷ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয় ৷
আরও পড়ুন: জেলের গরমে অ্যালার্জির সমস্যায় চন্দ্রবাবু, সংশোধনাগারে গিয়ে দেখে এলেন চিকিৎসকরা