নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: তিন দিন পর সংসদের নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ৷ এই বিষয়ে বলতে গিয়ে চিঠিতে তিনি জানান, 13 জন সাংসদকে বহিষ্কার করার সঙ্গে সংসদ হানার কোনও যোগ নেই ৷ কক্ষের মর্যাদারক্ষার জন্য় দৃষ্টান্ত স্বরূপ সাংসদদের বহিষ্কার করা হয়েছে ৷
এই ঘটনার পর অনেকেই মুখ খুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে ৷ কেউ তাঁর কাছে বিবৃতি চেয়েছেন ৷ আবার কেউ তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ৷ পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা নিয়ে বিড়লা জানান সংসদ ভবনের নিরাপত্তা সংসদীয় আচরণবিধির মধ্য়ে পড়ে ৷ সমস্ত সাংসদদের উদ্দেশে লেখা এই চিঠিতে তিনি এও জানান, তিনি একটি 'উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি' গঠন করেছেন ৷ সেই কমিটি নিরাপত্তার সমস্ত দিকগুলি খতিয়ে দেখছে ৷ সেই অনুযায়ী একটি অ্যাকশন প্ল্যানও তৈরি করা হবে যাতে এরকম কোনও ঘটনা আর না ঘটে ৷ সিআরপিএফ ডিরেক্টর জেনারেলকে বসানো হয়ছে এই কমিটির প্রধানের পদে ৷
চিঠিতে তিনি লেখেন, "এটা অযৌক্তিক ৷ 13 ডিসেম্বরের ঘটনার সঙ্গে সাংসদদের বহিষ্কার করার ঘটনার কোনও যোগ নেই ৷ " প্রসঙ্গত, 13 ডিসেম্বর সংসদে ভিজিটার্স গ্যালারি থেকে সংসদ কক্ষে ঝাঁপ দেয় দুই যুবক ৷ তাদের কাছে ছিল রঙিন স্মোক বোম ৷ গোটা সংসদ কক্ষ রঙিন ধোঁয়ায় ভরে যায় ৷ তারপর এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা বিরোধী শিবিরের অনেকেই যে মন্তব্য করেন তা 'অসংসদীয়' বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এই ঘটনা নিয়ে লিখতে গিয়ে ওম বিড়লা জানান, সাংসদদের বহিষ্কার করার কারণ একটাই তাঁরা সংসদ কক্ষের মর্যাদাহানি করেছেন ৷ বিরোধীরা যেভাবে একে 13 ডিসেম্বরের ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই ৷
তিনি এও জানান, এই প্রথম নয় অতীতেও সংসদে পিস্তল নিয়ে লোক ঢুকেছে, স্লোগান দেওয়া হয়েছে ৷ কখনও কখনও সাংসদরাও হট্টগোল করেছেন ৷ অন্ধপ্রদেশ ভেঙে যখন তেলেঙ্গানা আলাদা রাজ্য় হয় তখনও অনেকেই 'পেপার স্প্রে' এনেছিলেন ৷ তবে নতুন সংসদভবনের উদ্বোধনের সময়ই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সংসদে কোনও প্ল্য়াকার্ড আনা যাবে না ৷ সেকথা জানিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের সংসদের নতুন ভবন উদ্বোধনের সময়, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম হাউসের ভিতরে প্ল্যাকার্ড আনা চলবে না ৷ শুধু তাই নয় আমরা সভাগৃহেও কোনও হট্টগোল করব না ৷" তিনি এও জানান, বিরোধীদের অনেকের সঙ্গেই এই ঘটনার পর কথা বলা হয়েছে তাঁদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: