গাদাগ, 29 সেপ্টেম্বর : সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা ৷ প্রাণ গেল মহিলা ও তাঁর এক সন্তানের ৷ পালিয়ে বাঁচল বাকি দুই সন্তান ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের রোনা তালুকের আলুরু গ্রামের ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছেন, মলপ্রভা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা ৷
আরও পড়ুন : Delhi High Court Firing : দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে রাইফেল দিয়ে আত্মঘাতী নিরাপত্তারক্ষী
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম উমাদেবী ৷ বয়স 45 বছর ৷ প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মাস কয়েক আগেই মৃত্যু হয় উমার স্বামী সঙ্গমেশ চাল্লিকেরির ৷ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি ৷ তার জেরেই মৃত্যু বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ এই ঘটনার পর থেকেই ভেঙে পড়েন উমা ৷ চার সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে চরম সঙ্কটে পড়েন তিনি ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদের জেরেই সন্তানদের খুন করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন উমা ৷
উমা আর সঙ্গমেশের চারটি মেয়ে ৷ প্রথমটি বয়সে তরুণী ৷ দ্বিতীয় ও তৃতীয়জনের বয়স 14 বছর ও 12 বছর ৷ আর সবথেকে ছোটটির বয়স মাত্র 4 বছর ৷ এই চার বোনের মধ্যে সবথেকে বড় মেয়েটি গাদাগের একটি কলেজে পড়েন ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাকি তিন মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল উমার ৷ কিন্তু, তাঁর মেজো ও সেজো মেয়ে শেষ মুহূর্তে মায়ের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায় ৷ কিন্তু, তাদের ছোট বোন নিস্তার পায়নি ৷ তাকে নিয়েই নদীতে ঝাঁপ দেন উমা ৷ তাতে মা, মেয়ে দু’জনেরই মৃত্যু হয় বলে মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : lahaul spiti : লাহুল স্পিতিতে আটকে পড়া বাঙালি পর্বতারোহীদের হদিশ মিলল, চলছে উদ্ধারকাজ
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উমা ও তাঁর চার বছরের মেয়ের দেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ৷ তবে ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ায় এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান শুনের পুলিশের মনে হয়েছে, দু’জনের কেউই আর বেঁচে নেই ৷ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রোনা থানার পুলিশ ৷ পৌঁছেছেন দমকলকর্মীরাও ৷ শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ ৷