সমস্তীপুর (বিহার), 14 নভেম্বর: যৌন হেনস্তার (Molestation) পর এক নাবালিকার গোপানাঙ্গ, স্তন ও জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তীপুরে (Crime in Samastipur) ৷ অভিযোগ, প্রায় মৃত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা (Molestation with Minor girl) ৷ পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স 13 বছর ৷ গত 11 নভেম্বর তাকে অপহরণ করা হয় ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকেই তুলে নেওয়া যায় হয় মেয়েটিকে ৷ তার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ অনেক খোঁজার পর মেয়েটিকে বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় ৷ তখনই তার অবস্থা খারাপ ছিল ৷ স্থানীয়রাই তাকে হাসপাতালে ভরতি করে ৷ আপাতত সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা ৷ গ্রামের মানুষই চাঁদা তুলে ওই মেয়েটির চিকিৎসার টাকা জোগাড় করছে ৷
ঘটনাটি 11 নভেম্বর হলেও রবিবার বিষয়টি সামনে আসে ৷ এমন নৃশংস ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই বিস্মিত সকলকেই ৷ এই নিয়ে অনেকেই সরব হয়েছেন ৷ পরিবারের পাশে থেকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ স্থানীয় নেতারাও চকমেহেশী থানার পুলিশকে (Chakmehsi Police Station) দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ৷ সমস্তীপুরের পুলিশ সুপার হৃদয় কান্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না ৷
প্রসঙ্গত, যৌন নির্যাতনের পর এই ধরনের নৃশংসতার ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ এর আগেও এই ধরনার ঘটনা অনেকবার ঘটেছে ৷ দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের (Nirbhaya Case) সময়ও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ৷ নির্ভয়াকে প্রথমে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ (Gang Rape) করা হয় ৷ তার পর তাঁর গোপনাঙ্গ রড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয় ৷ সেই আক্রমণে তাঁর অন্ত্রও কিছুটা বাইরে চলে এসেছিল বলে সেই সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন ৷
এক্ষেত্রেও অভিযুক্তদের এই ধরনের পৈশাচিক প্রবৃত্তি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ৷ পুলিশ তদন্ত করছে ৷ কিন্তু অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে ৷