নয়াদিল্লি, 20 অগস্ট: দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে দিল্লির নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের এক ডেপুটি ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করল পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দিনের পর দিন ধরে উত্তর দিল্লির বুরারির বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গিয়েছেন ৷ 2020 সাল থেকে 2021 সালের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে ৷ নির্যাতিতা ওই ব্যক্তির এক বন্ধুর মেয়ে ৷ আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, এই ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী! ফলে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে ওই মহিলার বিরুদ্ধেও ৷
পুলিশ জানিয়েছে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পকসো ধারা ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 (2) (এফ), 506, 509, 323,313, 120বি ও 34 নং ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷ বর্তমানে, নির্যাতিতা এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ ৷ নাবালিকা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাকে স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে বয়ান দেওয়ার জন্য ৷ পুলিশ জানিয়েছে, 2020 সালে একটি চার্চে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় ওই নাবালিকার ৷
আরও পড়ুন: যৌন অত্যাচারে সন্তানের জন্ম সৎ মেয়ের, বাবাকে 20 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত
আরও জানা গিয়েছে, লাগাতার ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা ৷ এমনকি অভিযুক্ত তাকে হমকিও দেয় ৷ এমনকি, নির্যাতিতা যখন ঘটনার কথা অভিযুক্তের স্ত্রীকে জানায়, তখন সাহায্য করার পরিবর্তে ওই মহিলা ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই নির্যাতিতাকে গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, তাই পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে ৷ তদন্ত চলছে ৷ নির্যাতিতা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার বয়ান দেবে ৷ তার উপর ভিত্তি করে তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ এক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়ানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷