ETV Bharat / bharat

Minor Boy Burnt Alive: দিদির হেনস্তার প্রতিবাদ করায় অন্ধ্রপ্রদেশে নাবালককে পুড়িয়ে হত্যা

দিদির হেনস্তার প্রতিবাদ করায় 14 বছরের বালককে পুড়িয়ে হত্যা অন্ধ্রপ্রদেশে ৷ ঘটনায় গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত ৷

Minor boy burnt to death in Andhra Pradesh
পুড়িয়ে হত্যা
author img

By

Published : Jun 17, 2023, 3:12 PM IST

চেরুকুপল্লি (অন্ধ্রপ্রদেশ), 17 জুন: দিদিকে হেনস্তার প্রতিবাদ করার মাশুল দিতে হল এক নাবালককে ৷ বছর চোদ্দোর নাবালককে পুড়িয়ে হত্য়া করল চার যুবক ৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের বাপটলা জেলায় ৷ পুলিশ খুনের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, অপর অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন পামু ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি (20), প্রধান অভিযুক্ত, পামু গোপী রেড্ডি (25) এবং ম্যান্ডেলা বীর বাবু (20) । অধরা অভিযুক্তের নাম তুম্মা সাম্বি রেড্ডি ।

বাপটলার পুলিশ সুপার ভাকুল জিন্দাল শনিবার জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে 5টা নাগাদ এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এসপি জানান, অভিযুক্তরা ছেলেটিকে মারধর করে ও তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । ভোর 4টা থেকে ছেলেটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে । মৃত বালকের নাম উৎপলা অমরনাথ ৷ চেরুকুপল্লি গ্রামের একটি প্রত্যন্ত জায়গায় তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধান অভিযুক্ত ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি তাঁর দিদিকে হেনস্তা করে ৷ ছেলেটি তার প্রতিবাদ করেছিল । তারপরেই তাকে পুড়িয়ে মারে ভেঙ্কটেশ্বর ও তাঁর বন্ধুরা মিলে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ভেঙ্কটেশ্বর প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েটির যৌন হেনস্তা করে ।

মৃত নাবালক ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডির মায়ের কাছে অভিযোগ করেছিল যে তাঁর ছেলে দিদিকে হেনস্তা করছে । ভেঙ্কটেশ্বরের মা এই ঘটনা শোনার পর আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ যার ফলে ভেঙ্কটেশ্বরের নাবালকের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয় এবং তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র করে । পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডিকে তুলে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন ।

আরও পড়ুন: বিয়ে করতে বলায় গভবর্তী নাবালিকাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল প্রেমিক

সূত্রের খবর, বাপটলা জেলার চেরুকুপল্লি মন্ডলের রাজোলুর বাসিন্দা অমরনাথ শৈশবেই বাবাকে হারিয়েছেন । বাড়িতে তার মা, দিদি ও দাদা রয়েছেন । অভিযুক্তরা অমরনাথের গায়ে যখন আগুন ঢেলে পালিয়ে যায়, তখন ওই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় এক বাসিন্দা তার কান্না শুনতে পান ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি অমরনাথকে গুন্টুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন । টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের শোকপ্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, "যারা মহিলাদের হেনস্তা করে তাদের প্রতি পুলিশের নম্র মনোভাবের কারণেই এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে ৷"

চেরুকুপল্লি (অন্ধ্রপ্রদেশ), 17 জুন: দিদিকে হেনস্তার প্রতিবাদ করার মাশুল দিতে হল এক নাবালককে ৷ বছর চোদ্দোর নাবালককে পুড়িয়ে হত্য়া করল চার যুবক ৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের বাপটলা জেলায় ৷ পুলিশ খুনের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, অপর অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন পামু ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি (20), প্রধান অভিযুক্ত, পামু গোপী রেড্ডি (25) এবং ম্যান্ডেলা বীর বাবু (20) । অধরা অভিযুক্তের নাম তুম্মা সাম্বি রেড্ডি ।

বাপটলার পুলিশ সুপার ভাকুল জিন্দাল শনিবার জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে 5টা নাগাদ এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এসপি জানান, অভিযুক্তরা ছেলেটিকে মারধর করে ও তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । ভোর 4টা থেকে ছেলেটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে । মৃত বালকের নাম উৎপলা অমরনাথ ৷ চেরুকুপল্লি গ্রামের একটি প্রত্যন্ত জায়গায় তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধান অভিযুক্ত ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি তাঁর দিদিকে হেনস্তা করে ৷ ছেলেটি তার প্রতিবাদ করেছিল । তারপরেই তাকে পুড়িয়ে মারে ভেঙ্কটেশ্বর ও তাঁর বন্ধুরা মিলে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ভেঙ্কটেশ্বর প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েটির যৌন হেনস্তা করে ।

মৃত নাবালক ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডির মায়ের কাছে অভিযোগ করেছিল যে তাঁর ছেলে দিদিকে হেনস্তা করছে । ভেঙ্কটেশ্বরের মা এই ঘটনা শোনার পর আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ যার ফলে ভেঙ্কটেশ্বরের নাবালকের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয় এবং তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র করে । পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডিকে তুলে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন ।

আরও পড়ুন: বিয়ে করতে বলায় গভবর্তী নাবালিকাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল প্রেমিক

সূত্রের খবর, বাপটলা জেলার চেরুকুপল্লি মন্ডলের রাজোলুর বাসিন্দা অমরনাথ শৈশবেই বাবাকে হারিয়েছেন । বাড়িতে তার মা, দিদি ও দাদা রয়েছেন । অভিযুক্তরা অমরনাথের গায়ে যখন আগুন ঢেলে পালিয়ে যায়, তখন ওই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় এক বাসিন্দা তার কান্না শুনতে পান ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি অমরনাথকে গুন্টুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন । টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের শোকপ্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, "যারা মহিলাদের হেনস্তা করে তাদের প্রতি পুলিশের নম্র মনোভাবের কারণেই এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.