ETV Bharat / bharat

MHA Removes Research Papers: লাদাখে '26টি প্যাট্রোলিং পয়েন্ট হাতছাড়া' হওয়ার নথি মুছল অমিত শাহের মন্ত্রক - লাদাখে 26টি প্যাট্রোলিং পয়েন্ট হাতছাড়া

ভারত-চিন সীমান্তে লাদাখের পূর্বপ্রান্তে অনেকগুলি প্যাট্রোলিং পয়েন্টে ভারতের অধিকার নেই ৷ এই তথ্য প্রকাশ করেছেন দেশের উচ্চস্তরের আইপিএস আধিকারিকরা ৷ কিন্তু সেই সব নথি ওয়েবসাইট থেকে মুছে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs removes research paper from website) ৷

Ministry of Home Affairs
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
author img

By

Published : Jan 28, 2023, 10:26 AM IST

Updated : Jan 28, 2023, 10:42 AM IST

নয়াদিল্লি, 28 জানুয়ারি: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্তের জমিজমা বিষয়ক ইস্যু এবং সরকারের নীতি সংক্রান্ত রিসার্চের নথিপত্র- সবই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলেছে ৷ এই গবেষণামূলক তথ্যগুলি বেশির ভাগ লিখেছিলেন প্রবীণ আইপিএস আধিকারিকেরা ৷ সম্প্রতি তিন দিন ধরে ডিজিপি এবং আইজিপিদের কনফারেন্স হয় নয়াদিল্লিতে ৷ সেখানে এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি জমা দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর তরফে এই কনফারেন্সের আয়োজন করেছিল ৷

এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের বেড়া না দেওয়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত অঞ্চল সংক্রান্ত গবেষণাপত্র ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিনের মধ্যে 65 টি প্যাট্রলিং পয়েন্টস (Patrolling Points, PP) আছে ৷ এগুলি কারাকোরাম থেকে শুরু করে চুমুর পর্যন্ত বিস্তৃত ৷ সেখানে নিয়মিত ভারতীয় নিরপত্তা বাহিনী (Indian Security Force, ISF) প্রহরায় থাকে ৷ তার মধ্যে 26টি প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে অর্থাৎ দেশের মধ্যে নেই ৷ সেই তথ্যই মুছে ফেলল অমিত শাহর মন্ত্রক ।

আরও পড়ুন: 24 এর লোকসভা ভোটের আগেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে, ছত্তিশগড়ে বললেন অমিত শাহ

এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ বিরোধী শিবিরের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৷ ওই গবেষণামূলক নথিতে থেকে উদ্ধৃত করে ইটিভি ভারত প্রকাশ করেছিল, ওই সব জায়গাগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী অর্থাৎ আইএসএফ-এর কারও দেখা পাওয়া যায়নি ৷ কোনও নাগরিকও সেখানে যাননি ৷ উলটে সেখানে চিনের অস্তিত্ব রয়েছে ৷ লাদাখ থেকে এক আইপিএস আধিকারিক বলেন, "দেশের পূর্বপ্রান্তে থাকা রাজ্যগুলিকে অনুপ্রবেশের সমস্যা সামলাতে হয়৷ মায়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে মানুষ এই রাজ্যগুলিতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে ৷ ত্রিপুরা, অসম, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে ৷ সাধারণ জনজীবনে নানাবিধ অসুবিধে তৈরি হয় ৷" কনফারেন্সে জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়েছে চরমপন্থী ইসলামি সন্ত্রাস (Radical Islamic Terrorism), ডানপন্থী মৌলবাদের (Right Wing Radical Organisation) প্রকোপ বেড়ে চলেছে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চাধিকারিক জানান, নীতিগত কারণে এই রিসার্চ পেপারগুলি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷

নয়াদিল্লি, 28 জানুয়ারি: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্তের জমিজমা বিষয়ক ইস্যু এবং সরকারের নীতি সংক্রান্ত রিসার্চের নথিপত্র- সবই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলেছে ৷ এই গবেষণামূলক তথ্যগুলি বেশির ভাগ লিখেছিলেন প্রবীণ আইপিএস আধিকারিকেরা ৷ সম্প্রতি তিন দিন ধরে ডিজিপি এবং আইজিপিদের কনফারেন্স হয় নয়াদিল্লিতে ৷ সেখানে এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি জমা দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর তরফে এই কনফারেন্সের আয়োজন করেছিল ৷

এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের বেড়া না দেওয়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত অঞ্চল সংক্রান্ত গবেষণাপত্র ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিনের মধ্যে 65 টি প্যাট্রলিং পয়েন্টস (Patrolling Points, PP) আছে ৷ এগুলি কারাকোরাম থেকে শুরু করে চুমুর পর্যন্ত বিস্তৃত ৷ সেখানে নিয়মিত ভারতীয় নিরপত্তা বাহিনী (Indian Security Force, ISF) প্রহরায় থাকে ৷ তার মধ্যে 26টি প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে অর্থাৎ দেশের মধ্যে নেই ৷ সেই তথ্যই মুছে ফেলল অমিত শাহর মন্ত্রক ।

আরও পড়ুন: 24 এর লোকসভা ভোটের আগেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে, ছত্তিশগড়ে বললেন অমিত শাহ

এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ বিরোধী শিবিরের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৷ ওই গবেষণামূলক নথিতে থেকে উদ্ধৃত করে ইটিভি ভারত প্রকাশ করেছিল, ওই সব জায়গাগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী অর্থাৎ আইএসএফ-এর কারও দেখা পাওয়া যায়নি ৷ কোনও নাগরিকও সেখানে যাননি ৷ উলটে সেখানে চিনের অস্তিত্ব রয়েছে ৷ লাদাখ থেকে এক আইপিএস আধিকারিক বলেন, "দেশের পূর্বপ্রান্তে থাকা রাজ্যগুলিকে অনুপ্রবেশের সমস্যা সামলাতে হয়৷ মায়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে মানুষ এই রাজ্যগুলিতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে ৷ ত্রিপুরা, অসম, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে ৷ সাধারণ জনজীবনে নানাবিধ অসুবিধে তৈরি হয় ৷" কনফারেন্সে জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়েছে চরমপন্থী ইসলামি সন্ত্রাস (Radical Islamic Terrorism), ডানপন্থী মৌলবাদের (Right Wing Radical Organisation) প্রকোপ বেড়ে চলেছে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চাধিকারিক জানান, নীতিগত কারণে এই রিসার্চ পেপারগুলি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷

Last Updated : Jan 28, 2023, 10:42 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.