নয়াদিল্লি, 28 জানুয়ারি: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্তের জমিজমা বিষয়ক ইস্যু এবং সরকারের নীতি সংক্রান্ত রিসার্চের নথিপত্র- সবই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলেছে ৷ এই গবেষণামূলক তথ্যগুলি বেশির ভাগ লিখেছিলেন প্রবীণ আইপিএস আধিকারিকেরা ৷ সম্প্রতি তিন দিন ধরে ডিজিপি এবং আইজিপিদের কনফারেন্স হয় নয়াদিল্লিতে ৷ সেখানে এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি জমা দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর তরফে এই কনফারেন্সের আয়োজন করেছিল ৷
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের বেড়া না দেওয়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত অঞ্চল সংক্রান্ত গবেষণাপত্র ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিনের মধ্যে 65 টি প্যাট্রলিং পয়েন্টস (Patrolling Points, PP) আছে ৷ এগুলি কারাকোরাম থেকে শুরু করে চুমুর পর্যন্ত বিস্তৃত ৷ সেখানে নিয়মিত ভারতীয় নিরপত্তা বাহিনী (Indian Security Force, ISF) প্রহরায় থাকে ৷ তার মধ্যে 26টি প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে অর্থাৎ দেশের মধ্যে নেই ৷ সেই তথ্যই মুছে ফেলল অমিত শাহর মন্ত্রক ।
আরও পড়ুন: 24 এর লোকসভা ভোটের আগেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে, ছত্তিশগড়ে বললেন অমিত শাহ
এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ বিরোধী শিবিরের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৷ ওই গবেষণামূলক নথিতে থেকে উদ্ধৃত করে ইটিভি ভারত প্রকাশ করেছিল, ওই সব জায়গাগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী অর্থাৎ আইএসএফ-এর কারও দেখা পাওয়া যায়নি ৷ কোনও নাগরিকও সেখানে যাননি ৷ উলটে সেখানে চিনের অস্তিত্ব রয়েছে ৷ লাদাখ থেকে এক আইপিএস আধিকারিক বলেন, "দেশের পূর্বপ্রান্তে থাকা রাজ্যগুলিকে অনুপ্রবেশের সমস্যা সামলাতে হয়৷ মায়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে মানুষ এই রাজ্যগুলিতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে ৷ ত্রিপুরা, অসম, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে ৷ সাধারণ জনজীবনে নানাবিধ অসুবিধে তৈরি হয় ৷" কনফারেন্সে জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়েছে চরমপন্থী ইসলামি সন্ত্রাস (Radical Islamic Terrorism), ডানপন্থী মৌলবাদের (Right Wing Radical Organisation) প্রকোপ বেড়ে চলেছে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চাধিকারিক জানান, নীতিগত কারণে এই রিসার্চ পেপারগুলি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷