নুরদাগি (তুরস্ক), 13 ফেব্রুয়ারি: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের নুরদাগি শহরে ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে 6 বছরের এক বালিকাকে জীবিত উদ্ধার করেছেন ভারতীয় উদ্ধারকারীরা ৷ এনডিআরএফ-এর এই উদ্ধারাকাজে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে তাদের ডগ-স্কোয়াডের দুই সদস্য রোমিও এবং জুলি ৷ ধ্বংসস্তুপের তলায় প্রাণের স্পন্দনের খোঁজ এই সারমেয়ই দেয় উদ্ধারকারীদের ৷
এনডিআরএফ-এর সদস্যরা জানিয়েছেন, রোমিও ও জুলি ছাড়া ওই বালিকার সন্ধান পাওয়া বা তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হত না ৷ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই দুই সারমেয় গন্ধ শুঁকেই জানিয়ে দিয়েছিল টনটন কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষের তলায় কেউ জীবিত অবস্থায় আটকে রয়েছে ৷ তাদের দেখানো পথে গিয়েই পরে ওই বালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় ৷ 6 ফেব্রুয়ারি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ উদ্ধারকাজে যোগ দিতে ভারত থেকে তুরস্কে গিয়েছে এনডিআরএফ-এর দল (earthquake in Turkey) ৷ নুরদাগির মতো তুরস্কের অন্যান্য অংশেও কাজ করছেন এনডিআরএফ-এর সদস্যরা (NDRF team in Turkey) ৷
তুরস্কে কর্মরত এনডিআরএফ এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথমে জুলিই ওই ধ্বংসস্তুপের তলায় আটকে থাকা বালিকার সন্ধান পায় ৷ যার নাম ব্যারেন ৷ তাঁর কথায়, "জুলিকে আমরা নির্দেশ দিই ধ্বংসস্তুপের মধ্যে যেতে ৷ সেখানে গিয়ে সে ডাকতে শুরু করে ৷ এর মানে সেখানে কোনও জীবিত মানুষ রয়েছে ৷" ওই উদ্ধারকারী দলের আরও একজন সদস্য জানান, জুলির ওই বার্তা পাওয়ার পর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে সেখানে রোমিওকে পাঠানো হয় ৷ সেও একই বার্তা দেয় ৷ এরপরেই নিশ্চিত হয়ে সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়, বাঁচানো সম্ভব হয় 6 বছরের ব্যারেনকে ৷
আরও পড়ুন: তখন 7.7 তীব্রতায় কাঁপছে তুরস্কের হাসপাতাল, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সদ্য়োজাতদের রক্ষা নার্সদের
রোমিও এবং জুলির প্রশিক্ষককরা জানিয়েছেন, যে কোনও উদ্ধারকার্যে এভাবেই জোড়ায় জোড়ায় সারমেয়দের নিয়ে যাওয়া হয় যাতে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় ৷ এর আগেও দেশে এরকম কয়েকটি উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে রোমিও ও জুলি ৷ কলকাতায় একটি সেতু ভেঙে যাওয়ার পরেও তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ তবে বিদেশে এই প্রথম পাড়ি দিল এই দুই সারমেয় এবং তাদের দেওয়া 'খবর'-এর উপর ভিত্তি করেই বাঁচানো গেল একটি প্রাণ ৷