দেহরাদুন, 29 অগস্ট: নিজের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে (Man kills five members of the family)৷ মা ও স্ত্রীর পাশাপাশি সে খুন করেছে নিজের 3 বছরের কন্যাকেও (Dehradun Murder Case)৷ ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে দেহরাদুনের রানিপোখরি এলাকার নাগাঘের গ্রামে ৷
অভিযুক্ত মহেশ তিওয়ারির চার সন্তান ছিল ৷ তার মধ্যে তিনজনকেই সে খুন করেছে ৷ বরাতজোরে প্রাণে বেঁচেছে এক শিশুকন্যা (Man kills daughters)৷ কারণ ঘটনার দিন সে তার মাসির বাড়িতে গিয়েছিল ৷ মহেশ উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার আরারিয়া এলাকার বাসিন্দা ৷ বর্তমানে তিনি থাকতেন রানিপোখরিতে ৷
পুলিশ জানিয়েছে, মহেশ খুন করেছেন তাঁর 9 বছরের কন্যা অন্নপূর্ণা, 11 বছরের মেয়ে সুবর্ণা ও 15 বছরের মেয়ে অপর্ণাকে ৷ অপর্ণা পড়ত নবম শ্রেণিতে ৷ আর অন্নপূর্ণা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত ৷ সুবর্ণা ছিল বিশেষ ভাবে সক্ষম ৷ এ ছাড়াও তাঁর 38 বছর বয়সি স্ত্রী নীতু ও 70 বছর বয়সি মা বিতাল দেবীকেও নৃশংস ভাবে খুন করেছেন মহেশ ৷
এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী মহেশের প্রতিবেশীরা ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, তীব্র চিৎকার শুনতে পান তাঁরা ৷ ছোট্ট বাচ্চাটা কাঁদছিল ৷ সেই চিৎকার শুনেই মহেশের বাড়ি গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, বাড়ির দরজায় তালা দেওয়া ৷ এরপর দেওয়াল বেয়ে উঠে পেছনের দরজা দিয়ে কয়েকজন মহেশের বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেন ৷ তবে দরজা খুলতে না পেরে জানলা দিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, রক্তবন্যা বয়ে যাচ্ছে সারা ঘরে ৷ ছোট মেয়েকে ছুরি দিয়ে কোপাচ্ছে মহেশ, সেই ভয়ংকর দৃশ্যও প্রত্যক্ষ করেন প্রতিবেশীরা ৷
আরও পড়ুন: স্ত্রী, শিশুকন্যা, শাশুড়িকে কুপিয়ে গ্রেফতার দিল্লির ইঞ্জিনিয়ার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহেশ তিওয়ারি প্রথমে খুন করেন তাঁর স্ত্রীকে ৷ এরপর একে একে তিন সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি ৷ আর সবশেষে তিনি খুন করেন তাঁর মাকে ৷ এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, মহেশ খুব কমই বাড়ির বাইরে বেরোতেন ৷ বাড়িতে খুব পুজোআচ্চা করতেন তিনি ৷ তিনি তন্ত্রেমন্ত্রেও বিশ্বাসী ছিলেন বলে দাবি করেন কয়েকজন ৷
জানা গিয়েছে, প্রাতঃরাশ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মহেশের ঝামেলা হয়েছিল ৷ বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল ৷ ঝামেলা থেকে শুরু বাগ-বিতণ্ডা ৷ এরপরই প্রবল ক্ষেপে গিয়ে মহেশ একের পর হত্যালীলা শুরু করেন বলে অভিযোগ ৷ তার মানসিক সমস্যা ছিল বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরা ৷
এসএসপি জানিয়েছেন, প্রাতঃরাশ তৈরিতে সাহায্য করার জন্য মহেশকে বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী ৷ তার থেকেই ঝামেলার শুরু ৷ যে অস্ত্র দিয়ে মহেশ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷