ETV Bharat / bharat

Andra Pradesh Murder Case: অন্ধ্রপ্রদেশে 16 টুকরো করে মাঠে পুড়িয়ে ফেলা হল ব্যক্তির দেহ - কুপিয়ে হত্যা

সহকর্মীর হাতে খুন ব্যক্তি ৷ অন্ধ্রপ্রদেশে কুপিয়ে 16 টুকরো করে দেহ মাঠে পুড়িয়ে ফেলল বাবা-ছেলে ৷ অভিযুক্তের স্ত্রী-সহ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন (Andra Pradesh Murder Case) ৷

Andra Pradesh Murder
16 টুকরো করে মাঠে পুড়িয়ে ফেলা হল দেহ
author img

By

Published : Feb 26, 2023, 11:56 AM IST

পালনাডু(অন্ধ্রপ্রদেশ), 26 ফেব্রুয়ারি: পুরনো ঝামেলার জের ৷ প্রথমে ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর দেহের 16টি টুকরো করা হল । শেষমেশ সেগুলি জ্বালিয়ে দেওয়া হল । গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের সহকর্মী ও তাঁর ছেলে (Man body cut into 16 pieces and burnt in field ) ৷ শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পালনাডু জেলার গুরজলার দাচেপল্লি বাইপাস এলাকায় । এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জি কোটেশ্বর রাও (45) ৷ তিনি দাচেপল্লির বাসিন্দা ৷ অভিযুক্ত সহকর্মীর নাম বোম্বথুলা সাইদুলু ৷ দু'জনেই পঞ্চায়েতে কলের মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করছেন । কোটেশ্বর রাও শুক্রবার রাত 8টায় বৈদ্যুতিক মোটর বন্ধ করতে বাইপাস এলাকার জলের ট্যাঙ্কে যান । সাইদুলু সেখানেই ছিল ৷ সেখানে উপস্থিত ছিল তার ছেলেও। সূত্রের খবর, দুজনে মিলে লোহার রড দিয়ে কোটেশ্বরের মাথায় আঘাত করে ৷ ঘটনাস্থলেই কোটেশ্বর রাওয়ের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, পরে দেহটি একটি ব্যাগে ভরে এপি মডেল স্কুলের পাশের মাঠে নিয়ে যায় তারা । দেহ লঙ্কার বস্তার মধ্যে রেখে কুড়ুল দিয়ে 16টি টুকরো করা হয় । এরপর তারা দেহের ওপর লাঠিসোঁটা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ।

রাত দশটার পরও কোটেশ্বর রাও বাড়ি না আসায় পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা খুঁজতে শুরু করে । একই সময়ে বাবা-ছেলে ফিরলে আত্মীয়-স্বজনরাও তাদের জিজ্ঞাসা করে ৷ কিন্তু তাঁরা কোটেশ্বর কোথায় কিছু জানেন না বলে চলে যান । পরিবারের লোকেরা এলাকায় তল্লাশি চালায় । তারা জমিতে আগুন দেখতে পায় ৷ পরে একটি জ্বলন্ত পাও দেখতে পাওয়া যায় । এরপরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । পরে পরিবারের লোকেরা ওই অভিযুক্তের বাড়িতে যায় । অভিযুক্ত দু’জনই পোশাক পালটে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন বলে জানা গিয়েছে । তাঁরা কোটেশ্বর রাওকে কী করেছে জিজ্ঞেস করলে বাবা-ছেলে উত্তর দেয়নি ।

তবে সাইদুলুর স্ত্রীকে কোটেশ্বরকে খুনের পর বাড়িতে আসা বাবা-ছেলের জামাকাপড় পুড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে । এসময় পুলিশ সেখানে পৌঁছে তিনজনকে গ্রেফতার করে । পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে । শনিবার সকালে গুরজলা সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ডেকে ঘটনাস্থলে ময়নাতদন্ত করা হয় । বিকেলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিহতের পরিবার ও আত্মীয়রা । তারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় । সিআই তদন্তের আশ্বাস দিলে ধরনা প্রত্যাহার করা হয় ।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা কোটেশ্বর রাওকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত সাইদুলুর বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক মামলা রয়েছে । পুলিশ মনে করছে, পুরনো বিবাদ জেরে এই হত্যাকাণ্ড । বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেও এই খুন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । নিহতের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে । সিআই শেখ বিলালুদ্দিন জানান, তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ।

আরও পড়ুন: বিহারে খনি পরিদর্শককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা বালি মাফিয়াদের

পালনাডু(অন্ধ্রপ্রদেশ), 26 ফেব্রুয়ারি: পুরনো ঝামেলার জের ৷ প্রথমে ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর দেহের 16টি টুকরো করা হল । শেষমেশ সেগুলি জ্বালিয়ে দেওয়া হল । গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের সহকর্মী ও তাঁর ছেলে (Man body cut into 16 pieces and burnt in field ) ৷ শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পালনাডু জেলার গুরজলার দাচেপল্লি বাইপাস এলাকায় । এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জি কোটেশ্বর রাও (45) ৷ তিনি দাচেপল্লির বাসিন্দা ৷ অভিযুক্ত সহকর্মীর নাম বোম্বথুলা সাইদুলু ৷ দু'জনেই পঞ্চায়েতে কলের মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করছেন । কোটেশ্বর রাও শুক্রবার রাত 8টায় বৈদ্যুতিক মোটর বন্ধ করতে বাইপাস এলাকার জলের ট্যাঙ্কে যান । সাইদুলু সেখানেই ছিল ৷ সেখানে উপস্থিত ছিল তার ছেলেও। সূত্রের খবর, দুজনে মিলে লোহার রড দিয়ে কোটেশ্বরের মাথায় আঘাত করে ৷ ঘটনাস্থলেই কোটেশ্বর রাওয়ের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, পরে দেহটি একটি ব্যাগে ভরে এপি মডেল স্কুলের পাশের মাঠে নিয়ে যায় তারা । দেহ লঙ্কার বস্তার মধ্যে রেখে কুড়ুল দিয়ে 16টি টুকরো করা হয় । এরপর তারা দেহের ওপর লাঠিসোঁটা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ।

রাত দশটার পরও কোটেশ্বর রাও বাড়ি না আসায় পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা খুঁজতে শুরু করে । একই সময়ে বাবা-ছেলে ফিরলে আত্মীয়-স্বজনরাও তাদের জিজ্ঞাসা করে ৷ কিন্তু তাঁরা কোটেশ্বর কোথায় কিছু জানেন না বলে চলে যান । পরিবারের লোকেরা এলাকায় তল্লাশি চালায় । তারা জমিতে আগুন দেখতে পায় ৷ পরে একটি জ্বলন্ত পাও দেখতে পাওয়া যায় । এরপরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । পরে পরিবারের লোকেরা ওই অভিযুক্তের বাড়িতে যায় । অভিযুক্ত দু’জনই পোশাক পালটে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন বলে জানা গিয়েছে । তাঁরা কোটেশ্বর রাওকে কী করেছে জিজ্ঞেস করলে বাবা-ছেলে উত্তর দেয়নি ।

তবে সাইদুলুর স্ত্রীকে কোটেশ্বরকে খুনের পর বাড়িতে আসা বাবা-ছেলের জামাকাপড় পুড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে । এসময় পুলিশ সেখানে পৌঁছে তিনজনকে গ্রেফতার করে । পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে । শনিবার সকালে গুরজলা সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ডেকে ঘটনাস্থলে ময়নাতদন্ত করা হয় । বিকেলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিহতের পরিবার ও আত্মীয়রা । তারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় । সিআই তদন্তের আশ্বাস দিলে ধরনা প্রত্যাহার করা হয় ।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা কোটেশ্বর রাওকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত সাইদুলুর বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক মামলা রয়েছে । পুলিশ মনে করছে, পুরনো বিবাদ জেরে এই হত্যাকাণ্ড । বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেও এই খুন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । নিহতের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে । সিআই শেখ বিলালুদ্দিন জানান, তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ।

আরও পড়ুন: বিহারে খনি পরিদর্শককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা বালি মাফিয়াদের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.