জয়পুর, 17 ডিসেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের (Shraddha Walker Murder Case) ছায়া এবার জয়পুরে ৷ যেখানে কাকিমাকে হত্যার পর দেহ টুকরো করে লোপাটের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷ রান্না ঘরে দেহ টুকরো করে জঙ্গলে দেহাংশ লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে (Man Allegedly Murder Old Lady in Jaipur) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে গত 11 ডিসেম্বর জয়পুরের বিদ্যাধর নগরে ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহ লোপাটের পর 13 ডিসেম্বর রান্না ঘরের রক্ত পরিষ্কার করছিলেন অভিযুক্ত অনুজ শর্মা ৷ সেই সময় মৃতের ছোট মেয়ে পূজা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় অভিযুক্ত যুবক ধরা পড়ে যান ৷ তিনিই পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুুরো ঘটনা গত 11 ডিসেম্বর সন্ধ্যের সময় ঘটেছে ৷ মৃত সরোজ শর্মার দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে ৷ দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং ছেলে বিদেশে থাকেন ৷ ঘটনার দিন ছোট মেয়ে পূজা সেখানে যান ৷ তিনিই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত অনুজ তাঁর কাকিমার দেখাশোনা করতেন ৷ আর অনুজের থাকা-খাওয়ার সব খরচ সরোজ শর্মাই দিতেন ৷ তাঁরা বিদ্যাধর নগরের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ৷
জানা গিয়েছে, সরোজ শর্মার স্বামী 27 বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷ পুলিশকে সরোজ শর্মার মেয়ে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অনুজ পূূজাকে বিকানেরে ফোন করে জানান, সরোজ শর্মা গরুকে খাবার খাওয়াতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ৷ এই ঘটনায় বিদ্যাধরনগর থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও নাকি জানিয়ে ছিলেন অনুজ ৷ পূজাকে ফোনে এমনটাই জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত ৷
তবে, পূজা অনুজের কথায় বিশ্বাস করেননি ৷ তিনি 13 ডিসেম্বর কিছু না-জানিয়েই জয়পুরে মায়ের বাড়িতে চলে আসেন ৷ আর পূজা ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেখেন অনুজ রান্না ঘরে রক্তের দাগ পরিষ্কার করছেন ৷ পূজা অনুজকে রক্তের কথা জিজ্ঞেস করলে অনুজ জানান, তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়েছে ৷ এরপর অনুজ সেখান থেকে চলে যান ৷ এরপরেই পূজা পুরো বিষয়টি তাঁর বড় দিদিকে ফোন করে জানান ৷ তারপর পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে ৷ জানা যায়, অনুজ তাঁর কাকিমাকে খুন করে দেহ লোপাট করে দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: দু'বছরের শিশুকে ছাদ থেকে ফেলে নিজেও ঝাঁপ দিলেন বাবা! দিল্লির কালকাজিতে চাঞ্চল্য
পুলিশ এরপর অনুজকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, সরোজ শর্মা প্রতি ক্ষেত্রে তাঁকে বাধা দিতেন ৷ যা তাঁর ভালো লাগত না ৷ সেই কারণে রান্না ঘরে সরোজ শর্মা কাজ করার সময় পিছন থেকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেন ৷ এরপর সুযোগ বুঝে দেহ টুকরো টুকরো করেন এবং দিল্লি রোডের ধারে জঙ্গলে তা লোপাট করে দিয়েছেন ৷ পুলিশ পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ৷ সরোজ শর্মার দেহ খোঁজার কাজ চলছে ৷