নয়াদিল্লি, 18 অক্টোবর: 24 বছরের মধ্যে প্রথম গান্ধি পরিবারের বাইরে কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে এক বছর পূর্ণ করবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ গত বছর 19 অক্টোবর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন খাড়গে ৷ সফলভাবে তিনি তাঁর ভূমিকা পালন করেছেন বলে বুধবার কার্যত জোরালো সার্টিফিকেট দিয়েছেন দলের নেতারা ।
19 অক্টোবর, 2022 দলের অভ্যন্তরীণ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে পরাজিত করে খাড়গে দলের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হন ৷ যেখানে সারা দেশ থেকে নয় হাজার কংগ্রেস প্রতিনিধি ভোট দিয়েছিলেন। 1996 সালে কংগ্রেসের শেষ অ-গান্ধি সভাপতি ছিলেন সীতারাম কেশরী ৷ সেসময় শরদ পাওয়ার এবং রাজেশ পাইলটকে পরাজিত করে দলের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হন কেশরী।
দলের নেতাদের মতে, 80 বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও খাড়গে সফলভাবে নিজের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি দলের সংগঠনকে স্থিতিশীলতাও দিয়েছেন। একই সঙ্গে, খাড়গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিও নতুন করে পুনর্গঠনও করেছেন ৷ পাশাপাশি সংগঠনে ধীর গতিতে বেশ কিছু পরিবর্তনও করেছেন। আর এসব কারণেই দলের অভ্যন্তরে তিনি সকলের কাছে সমাদৃত বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁর সভাপতিত্বেই দল গত বছর হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল ৷
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অবিনাশ পান্ডে ইটিভি ভারতকে বলেন, "রাহুল গান্ধির দেশব্যাপী ভারত জোড়ো যাত্রার তদারকি যেমন করেছেন তেমনই একই সঙ্গে, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার নির্বাচনী রাজ্যেও সমানতালে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন খাড়গে। রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসাবে তিনি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেছেন ৷ 2024 সালে বিজেপির বিরুদ্ধে 'ইন্ডিয়া' জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছেন খাড়গে ৷"
গত বছরের ঘটনার কথা স্মরণ করে এআইসিসি সচিব বিএম সন্দীপ কুমার বলেন, "খাড়গের নির্বাচন কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক শংসাপত্র প্রমাণ করেছে। তাঁর নির্বাচন জনগণের চোখে দলের গণতান্ত্রিক কৃতিত্বও প্রমাণ করেছে। দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছেন ৷ তাঁর আবেদনের কারণে আমরা কর্ণাটকে দলিত ভোট পেয়েছি। পার্টি তাঁর নির্দেশনায় প্রান্তিক শ্রেণীর নেতৃত্ব বিকাশের জন্য দেশব্যাপী নয়া উদ্যোগও শুরু করেছে ৷”
তিনি আরও বলেন, “এখন বিজেপি আর পরিবারতান্ত্রিক দল হিসাবে আমাদের কটাক্ষ করতে পারে না ৷ তারা আমাদের নেতা রাহুল গান্ধিকে অপমান করার জন্য অন্য উপায় খুঁজছে ঠিকই কিন্তু তাও কাজ করছে না। ভারত জোড়ো যাত্রার পরে মানুষ আসল রাহুল গান্ধিকে বুঝতে পেরেছে ৷ তিনি বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির মতো প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরেছেন ৷ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছেন ৷”
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে 4 শতাংশ ডিএ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার
দলীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, যদিও পার্টি সংগঠনে ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন করা হয়েছে ৷ 2024 সালের নির্বাচনের জন্য নতুন এআইসিসি টিমের সামনে আসা এখন অপেক্ষা মাত্র ৷ সন্দীপ কুমার বলেন, “আমি মনে করি গত এক বছরে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন হল কংগ্রেস নভেম্বরে পাঁচটি বিধানসভা নির্বাচনে খুব আক্রমণাত্মকভাবে খাড়গের সভাপতিত্বে লড়াই করতে চলেছে। এই রাজ্য নির্বাচনগুলিকে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসাবে দেখা হচ্ছে ৷"