ভোপাল, 8 ডিসেম্বর: বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরমের সাতপুরা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে ৷ এই গণনা করতে গিয়েই গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন খুঁজে পেল বন বিভাগ ৷ আদিম মানুষের সৃষ্টি 10 হাজার বছর পুরনো গুহাচিত্র খুঁজে পেলেন বনকর্মীরা ৷ চুর্ণা পাহাড়ের গায়ে এই চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তৎকালীন গুহাবাসীরা ৷
পাহাড়ের গায়ে ফুটে ওঠা ওই ছবিতে দেখা গিয়েছ, আদিম মানুষ দল বেঁধে থাকত ৷ তারা অস্ত্র নিয়েও দল বেঁধে যাতায়াত করত ৷ গুহাচিত্রে এই রকমই ছবি ফুটে উঠেছে ৷ জিরাফের মতো দেখতে একটি প্রাণীর ছবিও আছে সেখানে ৷ একটি ছবি খুঁজে পাওয়ার পরেই বনকর্মীরা খুঁজতে থাকেন আর কোনও গুহাচিত্র খুঁজে পান কিনা ৷ টাইগার রিজার্ভের আধিকারিকদের মতে, এই এলাকায় 100টিরও বেশি 'রক পেইন্টিং' বা গুহাচিত্র রয়েছে ৷ কিন্তু এটি একটি টাইগার জোন ৷ আর সেখানে গুহাচিত্র খুঁজে পাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল । তবে চূর্ণা পাহাড়ে পাওয়া এই সমস্ত রক পেইন্টিং বা গুহাচিত্র থেকে ঐতিহাসিক আরও তথ্য জানা যাবে বলে মনে করেছন প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৷
ইতিহাসের অধ্যাপক ডঃ হংস ব্যাসের মতে, চূর্ণা পাহাড় একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ৷ যেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক শিলা চিত্রের অনেক নিদর্শন আছে । তাঁর কথায়, "এসডিআর, পাচমাড়ি এবং নর্মদাপুরম অঞ্চলেও সেখানে 110টি জায়গা আছে ৷ যেখানে অনেক রক পেইন্টিং পাওয়া যায় ৷" এই সমস্ত শিলা চিত্রের অধিকাংশই শিকারকে কেন্দ্র করে আঁকা হয়েছে ৷ ছবি দেখেই বোঝা যায় আদিম মানুষ দল বেঁধে শিকারে যেত ৷ শিকারের সময়ে তাঁরা মজাও করত ৷ তাঁরা আদিবাসীদের মতো ভঙ্গিমায় নৃত্য করত ৷ সেই সময়ের মানুষের জীবনযাত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রক পেন্টিং বা পাহাড়ের গায়ে আঁকা ছবিতে ৷
আরও পড়ুন: