নয়াদিল্লি, 21 ফেব্রুয়ারি: ফের লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের অভিযোগ ৷ এবারও ঘটনাস্থল উত্তর-পশ্চিম দিল্লির অমন বিহার ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার 28 বছর বয়সী এক তরুণীর মৃত্যু হয় ৷ মাদক সেবন নিয়ে লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে বচসা বাধে ৷ তার জেরে সঙ্গী তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ৷ 11 ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে খবর যায়, এক তরুণীর দেহ পুড়ে গিয়েছে এবং তিনি এসজিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সে সময় ওই তরুণী বয়ান দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না ৷ সোমবার ওই তরুণী হাসপাতালে মারা যান (Following Sraddha, Nikki's murder case yet another such incident in Delhi) ৷
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী উত্তরপশ্চিম দিল্লির বলবীর বিহারের বাসিন্দা ছিলেন ৷ তিনি একটি জুতো তৈরির ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ৷ পুলিশের এক উচ্চাধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁকে দগ্ধ অবস্থায় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানে থেকে এইমস-এর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তদন্তে উঠে এসেছে, ওই তরুণী তাঁর স্বামীকে ছেড়ে অভিযুক্তের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে বাস করছিলেন ৷ লিভ-ইন সঙ্গীর নাম মোহিত ৷ মৃত তরুণী ও মোহিত 6 বছর ধরে একসঙ্গে থাকছিলেন ৷
আরও পড়ুন: ফিরল শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ! দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবক
তরুণী ও স্বামীর একটি সন্তান রয়েছে ৷ মোহিতের সঙ্গে থাকাকালীন তিনি আরও এক সন্তানের জন্ম দেন ৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক ছিল যে শেষ মুহূর্তে তিনি কথাও বলতে পারেননি ৷ সোমবার তিনি মারা যান এবং তাঁর ময়নাতদন্ত হয়, জানিয়েছে পুলিশ ৷ তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে অমন বিহার থানায় একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে ৷
তরুণীর লিভ-ইন সঙ্গী মোহিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 10 ফেব্রুয়ারি রাতে মোহিতের সঙ্গে ঝামেলা বাধে তরুণীর ৷ তিনি বুঝতে পারেন মোহিত এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে নেশা করে বাড়ি ফিরেছেন ৷ বচসায় পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, অভিযুক্ত তখন তরুণীর গায়ে 'তারপিন তেল' ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ পুলিশ মোহিতকে আটক করেছে এবং তদন্ত চলছে ৷
আরও পড়ুন: প্রেমিকা নন, সাহিলের প্রথম স্ত্রী ছিলেন নিক্কি ! চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের