আমেদাবাদ, 18 নভেম্বর: বিধানসভা নির্বাচন শুরু 1 ডিসেম্বর ৷ আজ মোদি-রাজ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৷ বিজেপি-কংগ্রেস মিলিয়ে মোট 182 জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে ৷ এবার প্রচার যুদ্ধ শুরু হবে সৌরাষ্ট্রে (Gujarat Assembly Election 2022) ৷
এর মধ্যে রাজ্যে দলবদলের ঘটনা ঘটেছে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের বহু কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ৷ গেরুয়া শিবির নাকি কথা দিয়েছিল, কংগ্রেস যে সব নেতারা পদ্মফুলে যোগ দেবেন, তাঁদের সবাইকে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হবে ৷ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি ৷ বহু প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা টিকিট পাননি ৷ সংখ্যাটা 12-রও বেশি ৷ তাঁদের আগাম নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত অন্য কোনও প্রচারকার্যের দায়িত্বও দেওয়া হয়নি ৷ অনেক আশা নিয়ে বিজেপিতে এসেছিলেন নেতারা ৷ তাঁদের ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ কংগ্রেসের অন্দরে মনোমালিন্যে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন নেতারা ৷ সঙ্গে ছিল অন্য কারণও ৷ কিন্তু এখন হয়ত কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতারা আপশোস করছেন ।
আরও পড়ুন: বরাবর এই আসনের প্রার্থীরা বড় পদ পেয়েছেন সরকারে, হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও
কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেও টিকিট পাননি এই নেতারা-
- জয়রাজ সিং পরমার
- হিমাংশু ব্যাস
- দীনেশ শর্মা
- অনিল জোশীরী
- সৌমাভাই গন্ডাভাই প্যাটেল
- ধবল সিং ঝালা
- অমিতভাই চৌধুরী
- হুকুভা জাদেজা
- ব্রিজেশ মেরজা
- পরসোত্তম সবরিয়া
কংগ্রেসের জয়রাজ সিংহ পরমার খেরালু আসন থেকে লড়ার সুযোগ পাবেন ভেবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ এদিকে হিমাংশু ব্যাসের ইচ্ছে ছিল বডবান কেন্দ্র থেকে লড়ার ৷ আমেদাবাদ পৌরনিগমে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দীনেশ শর্মা বাপুনগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কে আর জানত যে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে ? অনীশ জোশীরীর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে অনিল জোশীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু বিজেপি তাঁকেও টিকিট দেয়নি ৷ সুরেন্দ্রনগরের কংগ্রেস বিধায়ক সোমাভাই গণ্ডা থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন ৷ রাজনৈতিক মহল মনে করে তিনি কংগ্রেসকে একপ্রকার ধোঁকাই দিয়েছেন ৷ আর যেমন কর্ম, তেমনি ফল ৷ বিজেপিও তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ এবার সেই নেতাদের কথায় আসা যাক, যিনি কংগ্রেস থেকে এসে মনসা কেন্দ্র উপনির্বাচনে হেরে গিয়েছেন ৷ প্রাক্তন বিধায়ক ধবনসিং ঝালা আর অমিত চৌধুরী বৈদ, যাঁকে বিজেপি আর টিকিট দেয়নি ৷ হুকুমাকেও টিকিট দেওয়া হয়নি ৷ এতে তিনিও অসন্তুষ্ট হয়েছেন ৷ তাঁকে শান্ত করতে তিনটি কেন্দ্র- জামনগর (উত্তর), জামনগর (দক্ষিণ) এবং জামনগর গ্রামীন বিধানসভা কেন্দ্রের আধিকারিকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়া পরসোত্তম সাবরিয়া, ব্রিজেশ মেরজা কংগ্রেস থেকে টিকিট পাননি ৷ তাই তাঁরা পিছু হঠছেন ৷
আরও পড়ুন: কেউ ল্যাম্বরগিনি, কারও প্রতিবাদ গরুর গাড়িতে; গুজরাতে রঙিন বিধানসভা নির্বাচন
কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা বেশির ভাগ নেতার অবস্থা এখন খুবই দুর্দশাগ্রস্ত ৷ আর কেউ কেউ তো অধিকারের লোভে সরকারকে নিচু করে দেখায় ৷ বিজেপি কিন্তু লাগাতার কংগ্রেস নেতাদের নিশানা করে যাচ্ছে ৷ 2014-য় বিঠ্ঠল রডাডিয়া আর লীলাধর বাঘেলার মতো তাবড় কংগ্রেস নেতা সমেত সাতজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল ৷ তাঁরা সাংসদও হয়েছিলেন ৷ এতেই লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছে ৷
এতক্ষণ যাঁরা দল বদলে টিকিট পাননি, তাঁদের নিয়ে কথা হচ্ছিল ৷ এবার শুনুন তাঁদের কথা যাঁরা কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছেন এবং রাতারাতি টিকিট পেয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ৷ মোহন রাঠবা দু'দিন আগে কংগ্রেস ছাড়েন ৷ আর তাঁর ছেলে রাজেন্দ্র সিং রাঠবা দু'দিন বাদে টিকিট পেয়ে গিয়েছেন ৷ ভগবান বহাড়, জওহর চাবড়া, রাদ্যবজী প্যাটেল, কুংবরজী ওয়াবলিয়া, প্রদ্যুম্ন সিং জাডেজা, জেবী কাকডিয়া, অক্ষয় প্যাটেল, জীতু চৌধুরী, অশ্বিন কোতওয়াল আর মোহন রাঠবার ছেলে রাজেন্দ্র সিং রাঠবাকে টিকিট দিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: অপহরণের অভিযোগ ওড়ালেন জারিওয়ালা, চাড্ডার দাবি বিজেপি-চাপ