ETV Bharat / bharat

Kukis Demand UT to MHA: কুকিদের জন্য পৃথক কেন্দ্রশাসিত এলাকার দাবি, খতিয়ে দেখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক - কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাম্প্রতিক কথোপকথনের সময় কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদার দাবি করেছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, 3 মে মণিপুরে জাতিগত অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে কুকি-জো সম্প্রদায়গুলি চুরাচাঁদপুর, কাংপোকপি, চান্দেল, টেংনোপাল এবং ফেরজাওল-সহ পাঁচটি জেলা নিয়ে একটি পৃথক প্রশাসনের দাবি করে আসছে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 30, 2023, 11:04 PM IST

নয়াদিল্লি, 30 সেপ্টেম্বর: মণিপুরে নিরবিচ্ছিন্ন জাতিগত হিংসার পটভূমিতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ শনিবার মন্ত্রক সূত্রে খবর, সরকার মণিপুরে কুকিদের জন্য একটি পৃথক অঞ্চল তৈরি করার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে ৷ কুকি সংগঠনের তরফে সাসপেনশন অফ অপারেশন ভারত সরকারের কাছে একটি দাবি সনদ জমা দিয়েছে।

মন্ত্রকের সূত্র ইটিভি ভারতকে জানিয়েছে, "এটি একটি খুব জটিল সমস্যা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অস্থির রাজ্যে শান্তি আনতে সমস্ত সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে ৷” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাম্প্রতিক কথোপকথনের সময় কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদার দাবি করেছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, 3 মে মণিপুরে জাতিগত অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে কুকি-জো সম্প্রদায়গুলি চুরাচাঁদপুর, কাংপোকপি, চান্দেল, টেংনোপাল এবং ফেরজাওল-সহ পাঁচটি জেলা নিয়ে একটি পৃথক প্রশাসনের দাবি করে আসছে।

কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি বর্তমানে 2008 সালে ভারত সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সোউ-তে রয়েছে ৷ এ বিষয়ে কুকি নেতা হাওকিপ বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি পৃথক প্রশাসন তৈরি করাই কেবল বর্তমান সংকটের সমাধান হতে পারে ৷" হাওকিপ আরও জানান, একটি পৃথক প্রশাসন গঠন কুকিদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি 1 সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে উত্তর-পূর্বের জন্য বিশেষ সচিব এ কে মিশ্রের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের দাবির সনদ জমা দেয়। উল্লেখযোগ্যভাবে উভয় পক্ষের (ভারত সরকারের প্রতিনিধি এবং কুকি গ্রুপ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন এবং ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট) ইতিমধ্যে জুলাই থেকে চার দফা আলোচনা করেছে।

কেএনও এবং ইউপিএফ হল 18টি গোপন সংগঠনগুলি জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম শাখা। পুদুচেরি মডেলের জন্য তাদের দাবিকে ন্যায্যতা দিয়ে, অন্য এক কুকি নেতা জানান যে, পাঁচটি জেলায় আলাদা প্রশাসনের প্রয়োজন হবে ৷ টেংনুপাল এবং চান্দেল রাজ্যের পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে আবার কাংপোকপি ইম্ফলের কাছাকাছি ৷ সেক্ষেত্রে এদের মধ্যে সমন্বয় জরুরি বলেও জানান তিনি ৷

পুদুচেরির কথা উল্লেখ করে কুকি নেতা জানান, কেন্দ্রশাসিত এলাকা চারটি জেলা নিয়ে গঠিত যা ভৌগলিকভাবে একসঙ্গে অবস্থিত নয়। তাঁর কথায়, “তারা তামিলনাড়ু, কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো এগুলো সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পূর্ব উপকূলে পুদুচেরি জেলা পশ্চিম উপকূলের মাহে জেলা থেকে যেমন 600 কিলোমিটার দূরে ৷"

আরও পড়ুন: 'আপনার স্বপ্ন সফল করার দায়িত্ব আমার', প্রধানমন্ত্রী মোদি

উল্লেখযোগ্যভাবে, মণিপুরের মেইতি এবং নাগা উভয়ই ইতিমধ্যে কুকিদের জন্য একটি পৃথক প্রশাসন তৈরির বিরুদ্ধে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। প্রকৃতপক্ষে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইতিমধ্যেই মণিপুরে কুকিদের জন্য একটি পৃথক প্রশাসন বা অঞ্চল তৈরির বিষয়ে তাঁর সরকারের আপত্তিও কেন্দ্রকে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ৷

নয়াদিল্লি, 30 সেপ্টেম্বর: মণিপুরে নিরবিচ্ছিন্ন জাতিগত হিংসার পটভূমিতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ শনিবার মন্ত্রক সূত্রে খবর, সরকার মণিপুরে কুকিদের জন্য একটি পৃথক অঞ্চল তৈরি করার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে ৷ কুকি সংগঠনের তরফে সাসপেনশন অফ অপারেশন ভারত সরকারের কাছে একটি দাবি সনদ জমা দিয়েছে।

মন্ত্রকের সূত্র ইটিভি ভারতকে জানিয়েছে, "এটি একটি খুব জটিল সমস্যা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অস্থির রাজ্যে শান্তি আনতে সমস্ত সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে ৷” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাম্প্রতিক কথোপকথনের সময় কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদার দাবি করেছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, 3 মে মণিপুরে জাতিগত অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে কুকি-জো সম্প্রদায়গুলি চুরাচাঁদপুর, কাংপোকপি, চান্দেল, টেংনোপাল এবং ফেরজাওল-সহ পাঁচটি জেলা নিয়ে একটি পৃথক প্রশাসনের দাবি করে আসছে।

কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি বর্তমানে 2008 সালে ভারত সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সোউ-তে রয়েছে ৷ এ বিষয়ে কুকি নেতা হাওকিপ বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি পৃথক প্রশাসন তৈরি করাই কেবল বর্তমান সংকটের সমাধান হতে পারে ৷" হাওকিপ আরও জানান, একটি পৃথক প্রশাসন গঠন কুকিদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি 1 সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে উত্তর-পূর্বের জন্য বিশেষ সচিব এ কে মিশ্রের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের দাবির সনদ জমা দেয়। উল্লেখযোগ্যভাবে উভয় পক্ষের (ভারত সরকারের প্রতিনিধি এবং কুকি গ্রুপ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন এবং ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট) ইতিমধ্যে জুলাই থেকে চার দফা আলোচনা করেছে।

কেএনও এবং ইউপিএফ হল 18টি গোপন সংগঠনগুলি জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম শাখা। পুদুচেরি মডেলের জন্য তাদের দাবিকে ন্যায্যতা দিয়ে, অন্য এক কুকি নেতা জানান যে, পাঁচটি জেলায় আলাদা প্রশাসনের প্রয়োজন হবে ৷ টেংনুপাল এবং চান্দেল রাজ্যের পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে আবার কাংপোকপি ইম্ফলের কাছাকাছি ৷ সেক্ষেত্রে এদের মধ্যে সমন্বয় জরুরি বলেও জানান তিনি ৷

পুদুচেরির কথা উল্লেখ করে কুকি নেতা জানান, কেন্দ্রশাসিত এলাকা চারটি জেলা নিয়ে গঠিত যা ভৌগলিকভাবে একসঙ্গে অবস্থিত নয়। তাঁর কথায়, “তারা তামিলনাড়ু, কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো এগুলো সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পূর্ব উপকূলে পুদুচেরি জেলা পশ্চিম উপকূলের মাহে জেলা থেকে যেমন 600 কিলোমিটার দূরে ৷"

আরও পড়ুন: 'আপনার স্বপ্ন সফল করার দায়িত্ব আমার', প্রধানমন্ত্রী মোদি

উল্লেখযোগ্যভাবে, মণিপুরের মেইতি এবং নাগা উভয়ই ইতিমধ্যে কুকিদের জন্য একটি পৃথক প্রশাসন তৈরির বিরুদ্ধে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। প্রকৃতপক্ষে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইতিমধ্যেই মণিপুরে কুকিদের জন্য একটি পৃথক প্রশাসন বা অঞ্চল তৈরির বিষয়ে তাঁর সরকারের আপত্তিও কেন্দ্রকে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.