ETV Bharat / bharat

Karnataka High Court: গরিব পরিবারের শিশুদের বেসরকারি স্কুলে যেতে বাধ্য করছে সরকার, পর্যবেক্ষণ কর্ণাটক হাইকোর্টের

Karnataka High Court on Government School: 2013 সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় ৷ সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, গরিব পরিবারের শিশুদের বেসরকারি স্কুলে যেতে বাধ্য করছে কর্ণাটক সরকার ৷ আট সপ্তাহের মধ্যে স্কুলগুলির পরিকাঠামো ঠিক করে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত ৷

School/Representative Image
School/Representative Image
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 10, 2023, 2:15 PM IST

বেঙ্গালুরু, 10 অক্টোবর: সরকারি স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দিতে ব্যর্থ কর্ণাটক সরকার ৷ ওই রাজ্যের হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে এমনই জানিয়েছে ৷ কর্ণাটকের হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, যাঁদের পক্ষে তিনবেলা খাবার জোগাড় করাই কঠিন, তাঁরা সরকারি স্কুলগুলি প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকার কারণে বেসরকারি স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন ৷

2013 সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয় যে কর্ণাটকের স্কুলগুলিতে ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়ছে ৷ তার ভিত্তিতে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় ৷ সেই মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয়েছে আদালতের তরফে ৷

ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালে ও বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিতের বেঞ্চে ৷ সেখানে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, "শিক্ষা কি সুবিধাভোগীদের জন্য সংরক্ষিত ?" আদালত জানিয়েছে, সরকারি স্কুলগুলিতে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার অভাব এবং পানীয় জলের সুবিধা না থাকার বিষয়টি 2013 সালে প্রকাশ্যে আসে ৷ তার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷

শুনানিতে আদালত উল্লেখ করেছেন, এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকের 464টি সরকারি স্কুলে বিশ্রামকক্ষ নেই ৷ 32টি স্কুলে নেই পানীয় জলের সুবিধা ৷ এই নিয়ে সরকারি উদাসীনতার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কর্ণাটক হাইকোর্ট ৷ তাই আদালতের নির্দেশ, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে এই পরিষেবা সরকারি স্কুলগুলিতে উপলব্ধ করতে হবে ৷ আর সেই বিষয়টি আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে সরকারকে ৷

সোমবার আদালত বলেছে, "এসব কী রাজ্যকে জানানো আমাদের কাজ ? এত বছর ধরেই চলছে । স্কুল ও শিক্ষা দফতরের জন্য বাজেটে নিশ্চয়ই কিছু বরাদ্দ দেখানো হয়েছে । সেই বরাদ্দের কী হবে ?" শুনানির সময়, দরিদ্রদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বিনামূল্যের স্কিমগুলির কথা উল্লেখ করা হয় ৷ তখন আদালত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই ৷ তবে স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং পরিকাঠামো সরবরাহ করা উচিত ৷ বিশেষ করে যেখানে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পড়ে, সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ৷

আদালত জানিয়েছে, শিক্ষা মৌলিক অধিকার । কিন্তু সরকারি স্কুলে সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় দরিদ্রদের বেসরকারি স্কুলে যেতে হচ্ছে ৷ এর ফলে পরোক্ষভাবে বেসরকারি স্কুলগুলিরই লাভ হচ্ছে ৷ মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ । অন্যদিকে, অন্য কোনও উপায় না থাকায়, অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থার উর্ধ্বে উঠে সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে ৷ সংবিধানে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তার পরও এই পরিস্থিতি অত্যন্ত হতাশাজনক ৷

আরও পড়ুন: একালের নটবরলাল! বিহারে বিক্রি হল সরকারি স্কুল; শুরু তদন্ত

হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতিটি ছবিতে একটি বই-সহ দেখা যায় ৷ এভাবেই শিক্ষার গুরুত্বকে বোঝানো হয় ৷ অনেক উন্নত দেশ প্রতিরক্ষার চেয়ে শিক্ষা খাতে বেশি ব্যয় করে ৷

সংবাদসংস্থা -পিটিআই

বেঙ্গালুরু, 10 অক্টোবর: সরকারি স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দিতে ব্যর্থ কর্ণাটক সরকার ৷ ওই রাজ্যের হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে এমনই জানিয়েছে ৷ কর্ণাটকের হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, যাঁদের পক্ষে তিনবেলা খাবার জোগাড় করাই কঠিন, তাঁরা সরকারি স্কুলগুলি প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকার কারণে বেসরকারি স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন ৷

2013 সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয় যে কর্ণাটকের স্কুলগুলিতে ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়ছে ৷ তার ভিত্তিতে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় ৷ সেই মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয়েছে আদালতের তরফে ৷

ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালে ও বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিতের বেঞ্চে ৷ সেখানে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, "শিক্ষা কি সুবিধাভোগীদের জন্য সংরক্ষিত ?" আদালত জানিয়েছে, সরকারি স্কুলগুলিতে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার অভাব এবং পানীয় জলের সুবিধা না থাকার বিষয়টি 2013 সালে প্রকাশ্যে আসে ৷ তার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷

শুনানিতে আদালত উল্লেখ করেছেন, এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকের 464টি সরকারি স্কুলে বিশ্রামকক্ষ নেই ৷ 32টি স্কুলে নেই পানীয় জলের সুবিধা ৷ এই নিয়ে সরকারি উদাসীনতার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কর্ণাটক হাইকোর্ট ৷ তাই আদালতের নির্দেশ, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে এই পরিষেবা সরকারি স্কুলগুলিতে উপলব্ধ করতে হবে ৷ আর সেই বিষয়টি আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে সরকারকে ৷

সোমবার আদালত বলেছে, "এসব কী রাজ্যকে জানানো আমাদের কাজ ? এত বছর ধরেই চলছে । স্কুল ও শিক্ষা দফতরের জন্য বাজেটে নিশ্চয়ই কিছু বরাদ্দ দেখানো হয়েছে । সেই বরাদ্দের কী হবে ?" শুনানির সময়, দরিদ্রদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বিনামূল্যের স্কিমগুলির কথা উল্লেখ করা হয় ৷ তখন আদালত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই ৷ তবে স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং পরিকাঠামো সরবরাহ করা উচিত ৷ বিশেষ করে যেখানে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পড়ে, সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ৷

আদালত জানিয়েছে, শিক্ষা মৌলিক অধিকার । কিন্তু সরকারি স্কুলে সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় দরিদ্রদের বেসরকারি স্কুলে যেতে হচ্ছে ৷ এর ফলে পরোক্ষভাবে বেসরকারি স্কুলগুলিরই লাভ হচ্ছে ৷ মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ । অন্যদিকে, অন্য কোনও উপায় না থাকায়, অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থার উর্ধ্বে উঠে সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে ৷ সংবিধানে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তার পরও এই পরিস্থিতি অত্যন্ত হতাশাজনক ৷

আরও পড়ুন: একালের নটবরলাল! বিহারে বিক্রি হল সরকারি স্কুল; শুরু তদন্ত

হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতিটি ছবিতে একটি বই-সহ দেখা যায় ৷ এভাবেই শিক্ষার গুরুত্বকে বোঝানো হয় ৷ অনেক উন্নত দেশ প্রতিরক্ষার চেয়ে শিক্ষা খাতে বেশি ব্যয় করে ৷

সংবাদসংস্থা -পিটিআই

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.