ETV Bharat / bharat

Justice D Y Chandrachud: "সর্বোচ্চ আদালতকে 'তারিখ পে তারিখ' হতে দেব না", হুঁশিয়ারি বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের

'সর্বোচ্চ আদালতে বেশিরভাগ মামলায় আইনজীবীরা সওয়াল জবাবের বদলে তারিখ চাইতে আসেন' ৷ এ নিয়ে আইনজীবীদের ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ (Bench of Justices Chandrachud and Hima Kohli) ৷

ETV Bharat
ETV Bharat
author img

By

Published : Sep 10, 2022, 9:20 AM IST

নয়াদিল্লি, 9 সেপ্টেম্বর: 'দামিনী' সিনেমায় আইনজীবী গোবিন্দের বিখ্যাত 'তারিখ পে তারিখ' ডায়লগ আওড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ শুক্রবার আইনজীবীদের মামলায় স্থগিতাদেশ চাওয়ার অভ্যাসের কড়া সমালোচনা করেন সর্বোচ্চ আদালতের এই বিচারপতি ৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সর্বোচ্চ আদালত 'তারিখ পে তারিখ' ('tareekh pe tareekh') আদালতে পরিণত হবে না ৷ মামলার জন্য একের পর এক তারিখ নেওয়া চলবে না (Supreme Court judge Justice D Y Chandrachud said the top court will not become a tareekh pe tareekh court) ৷

একটি মামলায় আইনজীবী স্থগিতাদেশ চান ৷ তাতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ তাঁকে পরের তারিখ চাওয়ার বদলে সওয়াল জবাব (Argue) করতে বলেন ৷ বেঞ্চ জানায়, বিচারপতিরা তাঁদের কাছে আসা মামলার জন্য নিজেদের তৈরি করেন ৷ এদিকে আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে মামলা স্থগিতের আবেদন চান ৷ তাঁদের মনে রাখা উচিত যে তাঁরা (আইনজীবীরা) দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসেছেন, ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ৷

বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি কোহলির বেঞ্চ (A bench of Justices Chandrachud and Hima Kohli) আইনজীবীর অনুরোধ খারিজ করেন ৷ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "আমরা চাই না সুপ্রিম কোর্ট 'তারিখ পে তারিখ' হয়ে যাক ৷ এই ধারণাটা বদলাতে চাই আমরা ৷"

আরও পড়ুন: সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

একটি মামলায় আইনজীবী স্থগিতাদেশ চান (seeking an adjournment) ৷ তাতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ তাঁকে পরের তারিখ চাওয়ার বদলে সওয়াল জবাব করতে বলেন ৷ বেঞ্চ জানায়, বিচারপতিরা তাঁদের দেওয়া মামলার তালিকার জন্য নিজেদের রাত জেগে তৈরি করেন ৷ এদিকে আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে মামলা স্থগিতের আবেদন জানান !

দুই বিচারপতি ওই আইনজীবীকে সংবিধানের 32 নম্বর ধারার (Article 32) আওতায় মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দেন ৷ যেখানে মৌলিক অধিকারগুলি (Enforcement Fundamental Rights) প্রয়োগের জন্য সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলা আছে ৷ বেঞ্চ অসন্তোষ প্রকাশ করে, এ ধরনের তুচ্ছ মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টকে কাজ ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না ৷ তাই এবার একটা কড়া বার্তা দেওয়ার সময় এসেছে ৷ এরকম মামলার পিছনে 5-10 মিনিট সময় দেওয়ার ফলে আসল মামলাকারী যিনি বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে, তাঁকে বঞ্চিত করা হয় ৷ ইদানীং আদালতে বিভিন্ন দিনে 60টি পর্যন্ত মামলার শুনানি থাকে ৷

আরও পড়ুন: 'হেট স্পিচে'র বিরুদ্ধে গলা তোলা যাবে না ? আইনি পড়ুয়াদের পরামর্শ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের

নয়াদিল্লি, 9 সেপ্টেম্বর: 'দামিনী' সিনেমায় আইনজীবী গোবিন্দের বিখ্যাত 'তারিখ পে তারিখ' ডায়লগ আওড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ শুক্রবার আইনজীবীদের মামলায় স্থগিতাদেশ চাওয়ার অভ্যাসের কড়া সমালোচনা করেন সর্বোচ্চ আদালতের এই বিচারপতি ৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সর্বোচ্চ আদালত 'তারিখ পে তারিখ' ('tareekh pe tareekh') আদালতে পরিণত হবে না ৷ মামলার জন্য একের পর এক তারিখ নেওয়া চলবে না (Supreme Court judge Justice D Y Chandrachud said the top court will not become a tareekh pe tareekh court) ৷

একটি মামলায় আইনজীবী স্থগিতাদেশ চান ৷ তাতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ তাঁকে পরের তারিখ চাওয়ার বদলে সওয়াল জবাব (Argue) করতে বলেন ৷ বেঞ্চ জানায়, বিচারপতিরা তাঁদের কাছে আসা মামলার জন্য নিজেদের তৈরি করেন ৷ এদিকে আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে মামলা স্থগিতের আবেদন চান ৷ তাঁদের মনে রাখা উচিত যে তাঁরা (আইনজীবীরা) দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসেছেন, ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ৷

বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি কোহলির বেঞ্চ (A bench of Justices Chandrachud and Hima Kohli) আইনজীবীর অনুরোধ খারিজ করেন ৷ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "আমরা চাই না সুপ্রিম কোর্ট 'তারিখ পে তারিখ' হয়ে যাক ৷ এই ধারণাটা বদলাতে চাই আমরা ৷"

আরও পড়ুন: সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

একটি মামলায় আইনজীবী স্থগিতাদেশ চান (seeking an adjournment) ৷ তাতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ তাঁকে পরের তারিখ চাওয়ার বদলে সওয়াল জবাব করতে বলেন ৷ বেঞ্চ জানায়, বিচারপতিরা তাঁদের দেওয়া মামলার তালিকার জন্য নিজেদের রাত জেগে তৈরি করেন ৷ এদিকে আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে মামলা স্থগিতের আবেদন জানান !

দুই বিচারপতি ওই আইনজীবীকে সংবিধানের 32 নম্বর ধারার (Article 32) আওতায় মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দেন ৷ যেখানে মৌলিক অধিকারগুলি (Enforcement Fundamental Rights) প্রয়োগের জন্য সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলা আছে ৷ বেঞ্চ অসন্তোষ প্রকাশ করে, এ ধরনের তুচ্ছ মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টকে কাজ ঠিকমতো কাজ করতে দিচ্ছে না ৷ তাই এবার একটা কড়া বার্তা দেওয়ার সময় এসেছে ৷ এরকম মামলার পিছনে 5-10 মিনিট সময় দেওয়ার ফলে আসল মামলাকারী যিনি বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে, তাঁকে বঞ্চিত করা হয় ৷ ইদানীং আদালতে বিভিন্ন দিনে 60টি পর্যন্ত মামলার শুনানি থাকে ৷

আরও পড়ুন: 'হেট স্পিচে'র বিরুদ্ধে গলা তোলা যাবে না ? আইনি পড়ুয়াদের পরামর্শ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.