নয়াদিল্লি, 12 ডিসেম্বর: বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of Bombay High Court) দীপঙ্কর দত্তকে (Justice Dipankar Datta) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি হিসাবে শপথবাক্য (Oath) পাঠ করালেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI D Y Chandrachud) ৷ সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন দীপঙ্কর দত্ত ৷ উল্লেখ্য, বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন ছাড়াও এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷
বিচারপতি দত্তের পরিবারও আইন ও আদালতের সঙ্গে যুক্ত ৷ তাঁর বাবা প্রয়াত সলিলকুমার দত্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন ৷ সুপ্রিম কোর্টের আরও এক প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ রায় বিচারপতি দত্তের আত্মীয় ৷ সোমবার সকাল 10টা 36 মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের 1 নম্বর কোর্ট রুমে বিচারপতি দত্তকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ৷ প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে শীর্ষ আদালতে সব মিলিয়ে মোট 34 জন বিচারপতি (প্রধান বিচারপতি-সহ) থাকার অনুমোদন রয়েছে ৷ বিচারপতি দত্তের শপথগ্রহণের পর সংখ্যাটি হল 28 ৷ অর্থাৎ এরপরও 6টি আসন ফাঁকা রইল ৷ রবিবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দীপঙ্কর দত্তের নাম ঘোষণা করা হয় ৷ আইন মন্ত্রকের বিচার বিভাগের তরফ থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় ৷
আরও পড়ুন: মুসলিম মহিলাদের বিয়ের ন্য়ূনতম বয়সের নির্দিষ্টকরণ, কেন্দ্রের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের জন্ম হয় 1965 সালের 9 ফেব্রুয়ারি ৷ অর্থাৎ চলতি বছরই তিনি 57 বছর পূর্ণ করেন ৷ সেই হিসাবে 2030 সালের 8 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচারপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি ৷ কারণ, শীর্ষ আদালতে বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স হল 65 বছর ৷ উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করার জন্য দীপঙ্কর দত্তের নাম প্রস্তাব করা হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৷
2006 সালের 22 জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে কলকাতা হাইকোর্টের বেঞ্চে নিযুক্ত হন দীপঙ্কর দত্ত ৷ 2020 সালের 28 এপ্রিল বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি ৷ কলকাতা হাইকোর্টের সরকারি ওয়েবসাইট বলছে, 1989 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি ডিগ্রি লাভ করেন দীরঙ্কর দত্ত ৷ এরপর সেই বছরেরই 16 নভেম্বর থেকে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর ৷