ভোপাল (মধ্যপ্রদেশ), 4 জুন : জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে "আইনবিরুদ্ধ" বলল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মহম্মদ রাফিক আহমেদ আর বিচারপতি সুজয় পাল জানান, 24 ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর আড়াইটের মধ্য়ে ওই চিকিৎসকদের কাজে ফিরে যেতে হবে, নাহলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করবে ৷
গত সোমবার থেকে এই ছ'টি মেডিক্যাল কলেজের জুুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন ৷ যাঁদের মধ্যে প্রায় 3000 জুনিয়র ডাক্তার ইতিমধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ৷
প্যানডেমিকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণ
করোনা সংক্রমণে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে চিকিৎসকরা যে কোনও সময় এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে সংক্রামিত হতে পারেন ৷ তাই তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার ৷ সঙ্গে বাড়ানো হোক স্টাইপেন্ড ৷ মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে এরকম বেশ কিছু দাবি জানিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ৷
রাজ্য সরকার এই ডাক্তারদের পিজি-র তৃতীয় বর্ষের নথিভুক্তিকরণ বাতিল করেছে, ফলে তাঁরাও আর পরীক্ষা দিতে পারবেন না ৷ বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ জুনিয়র ডক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন (এমপিজেডিএ)-র সভাপতি ডাঃ অরবিন্দ মিনা জানান, তাঁরা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন ৷ তাঁর দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবে মেডিক্যাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আর ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন ৷ আর তাঁদের এই কর্মবিরতিকে সমর্থন জানিয়েছে রাজস্থান, বিহার, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, বিহার, মহারাষ্ট্র আর ঋষিকেশের এইমস-সহ আরও বেশকিছু চিকিৎসক সংগঠন ৷
সরকার তাঁদের স্টাইপেন্ড 17 শতাংশ বাড়ানোর কথা জানালেও, তাঁদের দাবি 24 শতাংশ ৷ আর 6 মে সরকার তাঁদের সব দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানালেও কথা রাখেনি ৷ তাই এই কর্মবিরতি চলছে, চলবে, জানালেন ডাঃ মিনা ৷