জোশীমঠ (উত্তরাখণ্ড), 7 জানুয়ারি: জোশীমঠে (Joshimath) ধসে ক্ষতিগ্রস্তরা উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ ৷ তাঁরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছেন ৷ অভিযোগ, অনেকে রাতের খাবার পাননি ৷ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ওই এলাকায় ইতিমধ্য়ে 600 বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে ৷ কয়েকশো বাসিন্দাকে ইতিমধ্যেই ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি এখন স্থানীয় পৌরসভার নাইট শেল্টার, গুরুদোয়ারা এবং সিংধর ওয়ার্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৷ সেখানে ঠান্ডার মধ্যেই তাঁদের থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ প্রশাসনের তরফে হিটারেরও ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ খাবারের ব্যবস্থাও নিজেদের করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি আর বসবাসের যোগ্য নেই ৷ তাই তাঁরা প্রশাসনের কাছে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন করেছেন ৷
এদিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Uttarakhand CM Pushkar Singh Dhami) শুক্রবার এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন ৷ বৈঠকে সরকারি আধিকারিকদের প্রথমে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন । রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা, বিশেষজ্ঞদের একটি দল জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ইতিমধ্যে । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার জোশীমঠে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির ।
ধামির সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দেওয়ার আগে পর্যন্ত মাসে 4 হাজার টাকা মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দলগুলিও ওই শহরে পৌঁছেছে ৷ তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে ৷ তারা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে প্রস্তুত । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই নিয়ে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে ৷
এদিকে জোশীমঠে ভূমিধসের (Landslides in Joshimath) কারণে এনটিপিসি-র বিদ্যুৎ প্রকল্পের টানেলের ভিতরের কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে । জেলা প্রশাসন বিআরও-এর অধীনে হেলাং বাইপাস নির্মাণ কাজও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ৷ এনটিপিসির তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে ওই নির্মাণ কাজ চলছিল ৷ পৌর এলাকার অধীনে নির্মাণ কাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে ।
আরও পড়ুন: জোশীমঠ এলাকার ধস, উদ্ধার শতাধিক পরিবার, এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী