কোটা, 6 জানুয়ারি: শুক্রবার গভীর রাতে লাইনচ্যুত যোধপুর-ভোপাল প্যাসেঞ্জার ৷ কোটা জংশনের কাছে এসে যোধপুর-ভোপাল প্যাসেঞ্জার ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ট্রেনে থাকা যাত্রীরা তড়িঘড়ি ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেন। সে সময় ট্রেনটির অর্ধেক অংশ প্লাটফর্মে ঢুকেছে । ফলে যাত্রীদের নামতে কোনও অসুবিধা হয়নি ৷ অন্যদিকে, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে রেলের জরুরি হুটারও বেজে ওঠে । এতে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে ৷ ঘটনাস্থলে আসেন রেলের আধিকারিকরা । এরপর লাইনচ্যুত বগি দুটিকে আবার ট্র্যাকে ফিরিয়ে প্রায় 2 ঘণ্টা পর ট্রেনটি ছাড়া হয় ।
দুর্ঘটনাটি ঘটে রাত 10 টা 50 মিনিট নাগাদ ৷ সেসময় যোধপুর-ভোপাল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি 4 নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকছিল ৷ অর্ধেক ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তৃতীয় ও চতুর্থ কোচটি হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে । এগুলি ছিল থার্ড এসি ও জেনারেল কোচ । ট্রেনের গতি খুবই কম থাকায় কোনও যাত্রী গুরুতর আহত হননি । পরে রিলিফ ট্রেনও ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ।
এরপর হাইড্রোলিক জ্যাকের সাহায্যে কোচ তোলার কাজ শুরু হয় । প্রায় 2 ঘণ্টা সেই কাজ চলে ৷ এরপর রাত 1 টা 15 মিনিটে ট্রেনটি কোটা জংশন ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্য ফের রওনা দেয় । পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা । তারপরই ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার আসল কারণ জানা যাবে । তবে এই দুর্ঘটনার জেরে কোটা জংশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম অবরুদ্ধ হয়ে যায় ৷ সেখান থেকে অন্য কেনও ট্রেন যাতায়াত করতে পারছিল না ৷
এই লাইনের উপর দিয়ে আসা ট্রেনগুলিকে কাছাকাছি অন্য কোনও স্টেশনে বা বাইরের স্টেশনে দাঁড় করাতে হয়। এই কারণে ট্রেন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয় ৷ সমস্ত ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে চলতে থাকে । এই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে জয়পুর-চেন্নাই এক্সপ্রেস, অমৃতসর-মুম্বই ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস, কোটা-ইটাওয়া এবং ইন্দোর-কোটা ইন্টারসিটি ।
আরও পড়ুন: