রাঁচি, 5 সেপ্টেম্বর: আস্থাভোটে জিতলেন হেমন্ত সোরেন ৷ ক'দিন আগে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যপালকে ৷ এরপর থেকেই ঝাড়খণ্ডের সরকার নিয়ে টালবাহানা শুরু হয় ৷ শেষে স্থির হয় যে, আজ আস্থা ভোট হবে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় ৷ তাতে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ বহাল রইলেন তিনি (Jharkhand mukti morcha) হেমন্ত সোরেন (Hemant Sone wins trust vote in Jharkhand Assembly) ৷
81 সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় 48 জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পক্ষে ভোট দেন ৷ আস্থা ভোটে জিতে সোরেন বিজেপির বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তোলেন ৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমাদের সরকারকে নানা বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে ৷ আমাদের 3জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন ৷ বিধায়কদের কেনাবেচার দায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ৷ তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি ৷" তিনি আরও জানান, যতদিন ইউপিএ (United Progressive Alliance, UPA) থাকবে, ততদিন এই রাজ্যে বিজেপির এই চক্রান্ত সফল হবে না ৷ গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ওরা দু'টি রাজ্যের মধ্যে ঝামেলা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে ৷"
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের রাজভবনে নির্বাচন কমিশনের চিঠি, বিধায়ক পদ হারানোর পথে মুখ্যমন্ত্রী সোরেন
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে, বিজেপি রাজ্যপাল রমেশ বৈশের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয় ৷ তারা হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছিল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজেই নিজেকে খনি লিজ দিয়ে দিয়েছেন ৷ বিজেপির এই অভিযোগ রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠান ৷ আর 25 অগস্ট নির্বাচন কমিশন রাজ্যপালকে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেয় ৷ তারপরই ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতার মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় ৷