নয়াদিল্লি, 24 জানুয়ারি: ইন্টারনেট আর্কাইভ (Internet Archive) মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) নিয়ে তৈরি বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্র (BBC Documentary) সরিয়ে নিয়েছে । বিবিসি-র ওই তথ্যচিত্রের নাম ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ ৷ মোদি যখন গুজরাতের (Gujarat) মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় নিয়েও ওই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয় ৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে পক্ষপাতমূলক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এর জেরে ব্যাপক বিতর্ক হয় ৷ তার জেরেই ইন্টারনেট আর্কাইভ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
ভারত সরকার বিযয়টিকে ইতিমধ্যেই ভারত ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার বলে ব্যাখ্যা করেছে ৷ সেই কারণে ভারত সরকারের তরফে সারাদেশে ওই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে । বিবিসি ব্রিটিশ জাতীয় সম্প্রচারকারী সংস্থা ৷ ভারত সরকার তথ্যচিত্রকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা (Colonial Mindset) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, "আমরা মনে করি এটি একটি প্রোপাগান্ডার অংশ, যা নির্দিষ্ট ব্যাখ্যার মাধ্য়মে অসম্মান করার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৷ পক্ষপাত ও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে ওই তথ্যচিত্রে ৷ আর সেখানে ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ।"
এদিকে আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Law Minister Kiren Rijiju) সোমবার টুইটারে দাবি করেছেন যে ভারতের প্রতিটি সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে চলেছে । তিনি লিখেছেন, "সংখ্যালঘু বা সেই বিষয়ে ভারতের প্রতিটি সম্প্রদায় ইতিবাচকভাবে এগিয়ে চলেছে । ভারতের অভ্যন্তরে বা বাইরে চালানো বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার অভিযানের দ্বারা ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে না । প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর হল 1.4 বিলিয়ন ভারতীয়দের কণ্ঠস্বর ৷"
বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণ তীক্ষ্ণ করতে এই তথ্যচিত্রকে ব্যবহার করেছে । তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সাংসদরা টুইটারে ডকুমেন্টারিটির লিঙ্কটি শেয়ার করেছেন ৷ এটি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার আগে দেখে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৷ এদিকে বলিউডের পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’ নামে ছবি তৈরি করেছেন ৷ সেই ছবি প্রদর্শন বন্ধ করার সাহস বিজেপি দেখাক বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ৷
কেরালা কংগ্রেস রাজ্য জুড়ে ওই তথ্যচিত্র দেখানোর ঘোষণা করেছে ৷ সোমবার হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিতে এই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে ৷ জেএনইউ (JNU)-তে এখনও দেখানো হয়নি ৷ তবে এমনটা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসি'র তথ্যচিত্রের লিংক সরাতে ইউটিউব, টুইটারকে নির্দেশ কেন্দ্রের