হায়দরাবাদ, 13 জুলাই: শুক্রবার চাঁদের অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-3 ৷ এর উৎক্ষেপণ মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হবে বলে মনে করেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী রামকৃষ্ণ নাগরী ৷ তাঁর আশা, ভারতের জন্য এই জাতীয় আরও মহাকাশ অভিযানের পথ প্রশস্ত করবে চন্দ্রযান-3 ৷
শুক্রবার দুপুর 2.35-এ শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা রয়েছে চন্দ্রযান-3-এর । ইসরোর অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী রামকৃষ্ণ নাগরী এ প্রসঙ্গে বলেন, চন্দ্রযান-3 সফল হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী ৷ কারণ আগের মিশন থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়েছে ।
তাঁর কথায়, "চন্দ্রযান-2-এর আংশিক সাফল্যের পর এই মিশনটি ইসরোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আগের মিশনে আমাদের ক্র্যাশ ল্যান্ডিং হয়েছিল কিন্তু এ বার মসৃণ অবতরণ করার জন্য সিস্টেম তৈরি হয়েছে । এ বার আমরা অবশ্যই সফল হব ৷"
এই অভিযান থেকে সাধারণ মানুষ যে সুবিধাগুলি পাবে সে বিষয়ে জানাতে গিয়ে নাগরী বলেন, যে কোনও মহাকাশ কার্যকলাপ সম্প্রদায়ের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখে । নাগরী বলেন, "আমি যখন 1971 সালে ইসরোতে যোগদান করি তখন লোকেরা জিজ্ঞাসা করতেন যে, মহাকাশ কার্যক্রম থেকে সাধারণ মানুষ কী সুবিধা পাবেন ৷ বছরের পর বছর, আমরা দেখেছি যে ইসরো কীভাবে বাণিজ্যিক এবং সামরিক উভয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সম্প্রদায়ের জন্য অবদান রেখেছে ৷ একইভাবে, এই জাতীয় পরীক্ষাগুলি মানবতার জন্য বিশাল উপকারী হবে ৷"
আরও পড়ুন: শুক্রেই চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণ, তিরুপতিতে পুজো দিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান-সহ বিজ্ঞানীরা
প্রাক্তন বিজ্ঞানী আরও বলেন যে, কার্গিল যুদ্ধের সময় ইসরো সামরিক ক্ষেত্রের জওয়ানদের গতিবিধি সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছিল । আবহাওয়া দফতরও এর সুফল ভোগ করেছে এবং টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রও ইসরোর দ্বারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে ।
মহাকাশ ক্রিয়াকলাপে ভারতের অগ্রগতির বিষয়ে বলতে গিয়ে নাগরী বলেন যে, রাশিয়া এবং চিনের পরেই দৌড়ে রয়েছে ভারত । তাঁর আশা, "একদিন আমরা তাদের সঙ্গে সমান হব এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করব, এটাই আশা রাখি ৷"