ETV Bharat / bharat

Road Tunnel Brahmaputra River: নদীর নীচেও দেশের প্রথম টানেল তৈরির পথে ভারত - ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্পের জন্য

ভারতের প্রথম টানেল নির্মিত হতে চলেছে অসমে ব্রহ্মপুত্র নদের নীচে ৷ অন্যদিকে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্পের জন্য মোট চার হাজার 800 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে 50 শতাংশ বা দু'হাজার 500 কোটি টাকা শুধুমাত্র সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে।

Etv Bharat
চিন সীমান্ত জুড়ে টানেল তৈরির পথে ভারত
author img

By

Published : Apr 22, 2023, 10:12 PM IST

ভারতের প্রথম টানেল নির্মিত হতে চলেছে অসমে ব্রহ্মপুত্র নদের নীচে

তেজপুর (অসম), 22 এপ্রিল: অরুণাচল প্রদেশের উপর চিনের আগ্রাসনের মাঝেই যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে ভারত ৷ মূলত সীমান্ত এলাকায় এই অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাতেই মন দিয়েছে দেশ৷ সম্প্রতি, ভারত সরকার দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-এর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)-র সহায়তায় সীমান্ত বরাবর অতিরিক্ত 1800 কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করতে চলেছে। তেজপুরে ইটিভি ভারত-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে, সীমান্ত সড়ক সংস্থার ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব চৌধুরি জানান, প্রায় 1800 কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে ৷ পাশাপাশি এর জন্য ইতিমধ্যেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ টানেলও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

জেনারেল রাজীব চৌধুরি বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 10 এপ্রিল প্রথম অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত গ্রাম কিবিথু থেকে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্প ভিভিপি চালু করেছিলেন।" তাঁর দাবি, দেশের ভিভিপি-এর অধীনে মোট এক হাজার 662টি গ্রামের মধ্যে 441টি গ্রাম শুধুমাত্র অরুণাচল প্রদেশেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজীব চৌধুরী জানান, সরকার ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্পের জন্য মোট চার হাজার 800 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে 50 শতাংশ বা দু'হাজার 500 কোটি টাকা শুধুমাত্র সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশের দক্ষিণ সোভানসিরি জেলার মাজা গ্রাম অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে প্রথম গ্রাম৷ জানা গিয়েছে, এই গ্রামের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজানো হবে৷ তাও এই সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের অধীনে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত গ্রামটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানাচ্ছে সেনা৷ কারণ তামা চুং চুং-মাজা হল সেই এলাকা যেখানে 1962 সালের 18 অক্টোবর 2 জেকে রাইফেলের হাবিলদার শেরে থাপা 155 জন চিনা সেনাকে হত্যা করেছিলেন ৷

গেলেমো ডাকপা প্রায় পাঁচ হাজার 870 ফুট উচ্চতায় এবং গেলেন্টসিনিয়াক থেকে 17 কিমি দূরে, শেরি পর্বত ঘেরা তিব্বতীয় সারি তীর্থযাত্রা রুটে অবস্থিত। তীর্থযাত্রীরা সারি চু উপত্যকা থেকে গেলেন্টসিনিয়াক এবং তারপর সুবানসিরি উপত্যকা হয়ে তিব্বতে ফিরে যায়। তবে 1962 সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকে কোনও তীর্থযাত্রা এই রুটে হয়নি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী বলেন, "সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সেতুর মাধ্যমে মাজা গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্তে এখন সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে।" সেই সঙ্গে, তাঁর দাবি, এই রাস্তাটির হালও দ্রুত ফেরানো হবে ৷ তাঁর মতে, তীর্থযাত্রীদের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত সড়ক।

আরও পড়ুন: নকশাল দমনে জোর নারী শক্তিতে, 'বস্তার ফাইটার্সে' যোগ 280 জন মহিলার

অন্যদিকে, অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের নীচের টানেলটি বিশ্বের দীর্ঘতম সড়ক এবং রেল টানেল হবে বলেও দাবি করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে এই টানেলের দৈর্ঘ্য 9.8 কিলোমিটার হবে। ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে এবং এই মুহূর্তে পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ের রয়েছে।" নিরাপত্তা ও পর্যটন এলাকাতেই টানেলটি নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এটি ভারতের নদীগুলির মধ্য দিয়ে নির্মিত প্রথম সড়ক টানেল৷ কারণ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার নীচে মেট্রো রেলের টানেল গিয়েছে। বর্তমানে এই টানেলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে| চূড়ান্ত পরিকল্পনা সম্পন্ন হলে কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

ভারতের প্রথম টানেল নির্মিত হতে চলেছে অসমে ব্রহ্মপুত্র নদের নীচে

তেজপুর (অসম), 22 এপ্রিল: অরুণাচল প্রদেশের উপর চিনের আগ্রাসনের মাঝেই যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে ভারত ৷ মূলত সীমান্ত এলাকায় এই অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাতেই মন দিয়েছে দেশ৷ সম্প্রতি, ভারত সরকার দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-এর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)-র সহায়তায় সীমান্ত বরাবর অতিরিক্ত 1800 কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করতে চলেছে। তেজপুরে ইটিভি ভারত-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে, সীমান্ত সড়ক সংস্থার ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব চৌধুরি জানান, প্রায় 1800 কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে ৷ পাশাপাশি এর জন্য ইতিমধ্যেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ টানেলও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

জেনারেল রাজীব চৌধুরি বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 10 এপ্রিল প্রথম অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত গ্রাম কিবিথু থেকে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্প ভিভিপি চালু করেছিলেন।" তাঁর দাবি, দেশের ভিভিপি-এর অধীনে মোট এক হাজার 662টি গ্রামের মধ্যে 441টি গ্রাম শুধুমাত্র অরুণাচল প্রদেশেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজীব চৌধুরী জানান, সরকার ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্পের জন্য মোট চার হাজার 800 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে 50 শতাংশ বা দু'হাজার 500 কোটি টাকা শুধুমাত্র সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশের দক্ষিণ সোভানসিরি জেলার মাজা গ্রাম অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে প্রথম গ্রাম৷ জানা গিয়েছে, এই গ্রামের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজানো হবে৷ তাও এই সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের অধীনে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত গ্রামটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানাচ্ছে সেনা৷ কারণ তামা চুং চুং-মাজা হল সেই এলাকা যেখানে 1962 সালের 18 অক্টোবর 2 জেকে রাইফেলের হাবিলদার শেরে থাপা 155 জন চিনা সেনাকে হত্যা করেছিলেন ৷

গেলেমো ডাকপা প্রায় পাঁচ হাজার 870 ফুট উচ্চতায় এবং গেলেন্টসিনিয়াক থেকে 17 কিমি দূরে, শেরি পর্বত ঘেরা তিব্বতীয় সারি তীর্থযাত্রা রুটে অবস্থিত। তীর্থযাত্রীরা সারি চু উপত্যকা থেকে গেলেন্টসিনিয়াক এবং তারপর সুবানসিরি উপত্যকা হয়ে তিব্বতে ফিরে যায়। তবে 1962 সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকে কোনও তীর্থযাত্রা এই রুটে হয়নি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী বলেন, "সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সেতুর মাধ্যমে মাজা গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্তে এখন সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে।" সেই সঙ্গে, তাঁর দাবি, এই রাস্তাটির হালও দ্রুত ফেরানো হবে ৷ তাঁর মতে, তীর্থযাত্রীদের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত সড়ক।

আরও পড়ুন: নকশাল দমনে জোর নারী শক্তিতে, 'বস্তার ফাইটার্সে' যোগ 280 জন মহিলার

অন্যদিকে, অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের নীচের টানেলটি বিশ্বের দীর্ঘতম সড়ক এবং রেল টানেল হবে বলেও দাবি করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে এই টানেলের দৈর্ঘ্য 9.8 কিলোমিটার হবে। ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে এবং এই মুহূর্তে পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ের রয়েছে।" নিরাপত্তা ও পর্যটন এলাকাতেই টানেলটি নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এটি ভারতের নদীগুলির মধ্য দিয়ে নির্মিত প্রথম সড়ক টানেল৷ কারণ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার নীচে মেট্রো রেলের টানেল গিয়েছে। বর্তমানে এই টানেলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে| চূড়ান্ত পরিকল্পনা সম্পন্ন হলে কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.