নয়াদিল্লি, 13 জুলাই: লাদাখ (Ladakh) ইস্যুতে চিনকে কড়া বার্তা দিল ভারত ৷ সূত্রের খবর, লে (Leh)-এর কুশোক বকুলা রিম্পোচি বিমানবন্দরে (Kushok Bakula Rimpochee Airport) রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Fighter Aircraft) মোতায়েন করা হয়েছে ৷ সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল চিনের বায়ুসেনা (People's Liberation Army Air Force) বা প্লাফ (PLAAF) ৷ তার জবাবেই ভারতের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ভারতীয় রাডারে সীমান্তে চিনা যুদ্ধবিমান মোতায়েনের বিষয়টি নজরে আসে ৷ পরে এলএসি (LAC)-এর কাছে মোতায়েন ভারতীয় সেনারাও চিনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি জানতে পারেন ৷ এরপরই পালটা যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ আম্বালা থেকে পাঠানো হয় বিমানগুলি ৷ তবে, ঠিক কতগুলি বিমান লে-তে মোতায়েন করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি ৷
কী কারণে চিনা বায়ুসেনার বিমান লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ তবে, ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, সীমান্তে সুরক্ষা লঙ্ঘিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) বা আইএএফ (IAF) কীভাবে প্রতিক্রিয়া করবে, সেটাই বোঝার চেষ্টা করছে বেজিং ৷ সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, লাদাখ সীমান্তে চিনা বিমান মোতায়েনের খবর পাওয়ার পরই বুধবার ভোরে আম্বালা থেকে লাদাখের উদ্দেশে রওনা দেয় রাফাল যুদ্ধবিমান ৷ দিনের আলো ফোটার আগেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় সেগুলি ৷ প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান রাতের অন্ধকারেও উড়তে এবং অভিযানে যেতে সক্ষম ৷
ভারতের হাতে সব মিলিয়ে মোট 36টি রাফাল যুদ্ধবিমান রয়েছে ৷ এর অর্ধেক রয়েছে আম্বালার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ৷ বাকি অর্ধেক রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি সংলগ্ন হাসিমারায় ৷ ভারত ও চিনের মধ্যে কিছু সামরিক বোঝাপড়া রয়েছে ৷ সেই অনুসারে, যেকোনও ধরনের যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার সীমান্তে মোতায়েন করতে গেলে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে তার ন্যূনতম দূরত্ব হতে হবে 10 কিলোমিটার ৷ তবে, যে হেলিকপ্টারগুলিতে সেনাবাহিনীর রসদ পাঠানো হয়, সেগুলি সীমান্তের 1 কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে ৷
কিন্তু, লাদাখের সমস্যা হল, বহু ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ রেখা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা আদতে কোথায় রয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয় ৷ এ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্য়ে একাধিক বিরোধও রয়েছে ৷ এই প্রেক্ষাপটেই সীমান্তের কাছে একের পর এক নির্মাণ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে লালফৌজের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি হালকাভাবে নিতে নারাজ নয়াদিল্লি ৷ এই অবস্থায় সীমান্তে ভারতের রাফাল মোতায়েনকে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷